ঈদুল আজহা : ফজিলত ও আমল
প্রফেসর ড. এ বি এম হিজবুল্লাহ
আল্লাহর মহব্বতে নিবেদিত ইবরাহিম আ: বৃদ্ধ বয়সে প্রাপ্ত তাঁর আদরের সন্তান হজরত ইসমাঈলকে জবাই করার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন, যা ছিল এক কথায় যেমন মর্মস্পর্শী তেমনি ছিল পরওয়ারদিগারের সন্তুষ্টি অর্জনে পিতা-পুত্রের ত্যাগের এক মহান দৃষ্টান্ত। তাঁর সেই অমর সুন্নতের অনুসরণে প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা প্রতীকী পশু জবাই করে থাকেন। এ দিন জবাই পর্বের আগেই দু’রাকাত সালাত আদায় করা হয়। একেই বলা হয় ‘ঈদুল আজহা’। এ দিনের ফজিলত সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। অথচ কিছু আলিমের মতে, এ দিনটি বছরের সর্বোত্তম দিন। এমনকি তাদের দৃষ্টিতে আরাফাতের দিনের চেয়েও এ দিনটি উত্তম। ইমাম ইবনুল কায়্যিম বলেন, ‘আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম দিন হলো ইয়াওমুন নাহর বা কোরবানির দিন; এটাই হলো হজ আকবারের দিন।’ আবু দাউদ বর্ণিত একটি হাদিসে রয়েছে যে, ‘আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম দিন হলো কোরবানির দিন অতঃপর স্থিতিশীলতার দিন।’ কোরবানির দিন ১০ তারিখ আর স্থিতিশীলতার দিন হলো ১১ তারিখ। এ দিন সবাই মোটামুটি মিনায় স্থিতিশীলতার সাথে অবস্থান করেন।
২. এ দিনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলো : ইসলামী আদব-কায়দা মেনে চলা এবং হাদিসে বর্ণিত সুন্নতের অনুসরণ করা যেমন- এক. গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সর্বোত্তম কাপড় পরাÑ এগুলো সুন্নত। দুই. ক. ঈদের সালাত ওয়াজিব। তাই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করবে। খ. মসজিদের বাইরে উন্মুক্ত ময়দানে ঈদের জামাত করা সুন্নত। তাই বিভিন্ন মসজিদের পরিচালক মিলিত হয়ে ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করে একটি সুন্নতের ওপর আমল করার পরিবেশ তৈরি করবেন। গ. ঈদগাহে এক পথে যাওয়া, অন্য পথে ফিরে আসা সুন্নত। ঘ. যাওয়া ও আসার পথে তাকবির বলা সুন্নত। ঙ. ঈদের জামাত শেষে খুতবা শোনা ওয়াজিব। তিন. ভালো আমলের প্রতি আগ্রহী হওয়া, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে দেখা সাাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেয়া ও কুশল বিনিময় করা। চার. কোরবানিকৃত পশুর গোশত দিয়ে ইফতার করা। তাই ঈদের সালাত আদায় শেষে তার জন্য অপো করা। অবশ্য এটা কেউ এককভাবে কোরবানি করলে তার জন্য সহজ। অংশীদারিত্বে দিলেও এটা অসম্ভব নয়। প্রথমেই কিছু গোশত অংশীদারেরা ভাগ করে নিলে এ আমল করা অসম্ভব নয়। পাঁচ. এ দিনের সবচেয়ে বড় আমল হলো কোরবানির পশু জবাই করা। এ জন্য রয়েছে কয়েকটি বিধান। ক. কোরবানি হবে ঈদের জামাত শেষে। এর আগে কোরবানির পশু জবাই করলে তা কোরবানি হিসেবে গণ্য হবে না। কেননা হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, ‘এ দিনের সর্বপ্রথম যে কাজটি আমরা করব তা হলো আমরা (ঈদের) সালাত আদায় করব; এরপর আমরা ফিরে এসে পশু জবাই করব। যে এভাবে করবে সে আমাদের সুন্নতপ্রাপ্ত হলো। আর যে সালাত আদায়ের আগেই জবাই করল তাহলে তা জবাইকৃত প্রাণীর গোশতে পরিণত হলো, যা সে তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যবস্থা করল’ (বুখারি : সহি)। ছয়. পরস্পরে দেখা হলে এ বলে মুবারকবাদ দেয়া ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ (আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের (আমল) কবুল করুন)। রাশিদ ইবন সা’দ বর্ণনা করেন যে, একবার এক ঈদের দিন ওয়াছিলা ইবন আসকা এবং আবু উমামা বাহিলী রা: তার সাথে দেখা করেন এবং বলেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ (আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের (আমল) কবুল করুন) (তাবরানি : আদ দু’আ)। অন্য এক বর্ণনায় খালিদ ইবন মা’দান বর্ণনা করেন যে, একবার এক ঈদের দিন আমি ওয়াছিলা ইবন আসকার সাথে দেখা করি এবং বলি ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ (আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের (আমল) কবুল করুন)। তখন তিনি বলেন, হ্যাঁ, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না-ওয়া মিনকা’ (আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের (আমল) কবুল করুন) (বায়হাকি : আস সুনানুল কুবরা)। অন্য এক বর্ণনায় উমার ইবন আবদুল আজিজের মাওলা আদহাম বর্ণনা করেন যে, ঈদের দিন আমরা উমার ইবন আবদুল ‘আজিজকে এ বলে মুবারকবাদ দিতাম ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা ইয়া আমিরাল মুমিনিন’ ( হে আমিরুল মুমিনিন! আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের (আমল) কবুল করুন)। তখন তিনিও আমাদের উত্তর দিতেন এবং এ ব্যাপারে আমাদের নিষেধ করতেন। (বায়হাকি : শু’আবুল ঈমান)।
৩. কোরবানির হুকুম : যাদের ওপর জাকাত ফরজ তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। তা ছাড়া ঈদের দিন সুবহ সাদিকের সময় যারা নিসাব পরিমাণ উদ্বৃত্ত সম্পদের মালিক হবেন তাদের ওপরও কোরবানি ওয়াজিব। এ জন্য বছর অতিক্রান্ত হওয়া জরুরি নয়। অন্যান্য ইমামের মতে সামর্থ্যবান সব মুসলিম নরনারীর ওপর কোরবানি সুন্নতে মুআক্কাদাহ। হাদিসে বর্ণিত যে, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কোরবানি করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটেও না আসে’ (ইবন মাজাহ : সুনান)। ইমাম আহমাদ বলেন, সামর্থ্যবান ব্যক্তির কোরবানি না করাকে আমি অপছন্দ করি। ইমাম মালিক ও শাফেয়িও অনুরূপ মত ব্যক্ত করেন।
৪. কোরবানির ফজিলত ও এর সওয়াব : হাদিসে বলা হয়েছে, ‘কোরবানির দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কোরবানির পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুল-পশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সাথে তা পালন করো’ (ইবন মাজাহ : সুনান)। অন্য একটি হাদিসে রয়েছে যে, ‘রাসূলুল্লাহ সা: কে কোরবানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, এটা হলো তোমাদের পিতা ইব্রাহিম আ:-এর সুন্নত। তারা বললেন, এর বিনিময়ে আমাদের জন্য কী রয়েছে? তিনি সা: বললেন, প্রতিটি চুলের জন্য রয়েছে একটি করে নেকি। তারা বলল, তাহলে পশমের কী হবে? তিনি বললেন, চুলের প্রতিটি পশমের জন্যও রয়েছে একটি করে নেকি’ (ইবন মাজাহ : সুনান ও আহমাদ : মুসনাদ)।
৫. কোরবানি করা : ক. নিজের কোরবানির পশু নিজে জবাই করা সুন্নত। খ. অংশীদারিত্বের কোরবানি অংশীদারদের মধ্যে আগ্রহী যে কেউ একজন করা উত্তম। তবে উভয় েেত্র অনুমতিপ্রাপ্ত অন্য কেউ পে করলেও কোরবানি হয়ে যাবে। গ. কোরবানিকারীকে সম্মানী দেয়া বৈধ। তবে দুঃখজনক হলো, কোরবানির পশু ক্রয় করেন হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে, কিন্তু সম্মানী প্রদানের েেত্র এত কৃপণতা করে যে লজ্জা পেতে হয়।
৬. গোশত বণ্টন: কোরবানির গোশত বণ্টনের েেত্র অনেকেই মনে করেন যে, এটা তিন ভাগ করা সুন্নত এবং নিজ পরিবারে গোশত রাখার প্রয়োজন সত্ত্বেও এ বিশ্বাসে অনেকেই তাই করে থাকেন। আসলে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। তিন ভাগে বণ্টন করা মুস্তাহাব বলা হয়েছে। এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ গরিব দুস্থদের জন্য। তবে কোনো পরিবারে যদি সদস্যসংখ্যা বেশি থাকে তাহলে কম বেশি করা যেতে পারে। এমনকি পরবর্তী সময়ের জন্য সংরণও করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে জাবির ইবন আবদুল্লাহ বার্ণিত একটি হাদিসে দেখা যায়, নবীজি সা: তিন দিনের পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছেন। (অর্থাৎ তিন দিনের পর যেন গোশত অবশিষ্ট না থাকে।) অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা খাও, সাদাকা (বিলি) করো ও সংরণ করো’ (মালিক : মুআত্তা)। পরের বছর সাহাবিরা বললেন, গত বছরের মতো এ বছরও কি তিন দিনের বেশি গোশত রাখা যাবে না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, রাখা যাবে। গত বছর দুর্ভি ছিল, তাই নিষেধ করা হয়েছে। অন্য এক হাদিসে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমি তোমাদেরকে তিনটি বিষয় নিষেধ করেছিলাম, এখন আমি সে তিনটি বিষয় সম্পর্কে তোমাদের অনুমতি দিচ্ছি : তোমাদেরকে কবর জিয়ারত থেকে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা কবর জিয়ারত করতে পারো। কারণ কবর জিয়ারতে রয়েছে (আখেরাতের) স্মরণ ও উপদেশ। তোমাদেরকে চামড়াজাত পাত্রে পান করা থেকে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যেকোনো পাত্রে পান করতে পারো। তবে নেশাজাতীয় পানীয় পান করবে না। তোমাদেরকে তিন দিনের পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা (তিন দিনের পরও) খেতে পারো এবং সফরেও তা থেকে উপকৃত হতে পারো’ (বায়হাকি : আস্সুনানুল কুবরা)। আবু সাঈদ খুদরি থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘হে মদিনাবাসী! তিন দিনের বেশি কোরবানির গোশত খেও না’ (সংরণ করো না)। তারা রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে অভিযোগ করলেন যে, আমাদের সন্তান, সেবক-সেবিকা ও সাহায্যকারী রয়েছে। তখন তিনি বললেন, ‘তোমরা খাও, খাওয়াও ও সংরণ করো’ (প্রাগুক্ত)। অন্য একটি হাদিস হজরত নাবিশা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, তোমাদেরকে তোমাদের সচ্ছলতা না আসা পর্যন্ত তিন দিনের বেশি কোরবানির গোশত খেতে (সংরণ) নিষেধ করেছিলাম। আল্লাহ এখন তোমাদের সচ্ছলতা দান করেছেন; অতএব তোমরা খাও, সংরণ করো এবং সাদাকা (বিলি) করো। মনে রেখ, এ দিনগুলো হলো পানাহার ও আল্লাহকে স্মরণ করার দিন’ (প্রাগুক্ত)। হজরত আয়েশাকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘একবারই মাত্র এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যখন দুর্ভি দেখা দিয়েছিল’ (প্রাগুক্ত)। এ দিকে আল্লাহপাক কুরআন কারিমে ইরশাদ করেন, ‘অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ, অভাবগ্রস্তকে আহার করাও’ ( সূরা হাজ : ২৮)। অন্য স্থানে ইরশাদ করেন, (অনুবাদার্থ), ‘তবে তোমরা তা থেকে আহার করো এবং ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে ও অভাবগ্রস্ত ফকিরকে আহার করাও’ ( সূরা হাজ : ৩৬)। কোরবানির উদ্দেশ্য কিন্তু গোশত খাওয়া নয়। বরং তাকওয়া প্রদর্শনই হচ্ছে কোরবানির উদ্দেশ্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন (অনুবাদার্থ), ‘আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না ওদের ( জবাইকৃত কোরবানির পশু) গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া’ ( সূরা হাজ : ৩৭)। তাই গরিব, মিসকিন, ফকির ও অভাবগ্রস্তদের বাদ দিয়ে কোরবানির আনন্দ পূর্ণতা পেতে পারে না। অনুরূপ কোরবানির আনন্দ ষোলকলায় পূর্ণ হতে পারে না আত্মীয়স্বজনকে বাদ দিয়ে। তাই কোরবানির গোশত সংরণের অনুমতি মানে পুরোটুকু গিলে ফেলা নয়। আবার এর মানে এও নয় যে, পরিবারের সদস্যদের বঞ্চিত করা। এক কথায় বলা যায় কোরবানিদাতাই ঠিক করবেন কতটুকু নিজের জন্য রাখবেন, কতটুকু আত্মীয়স্বজন বা অভাবগ্রস্তদের মাঝে বণ্টন করবেন।
৭. গুনাহ ও পাপাচার থেকে মুক্ত থাকতে হবে : ঈদুল ফিতর কি ঈদুল আজহা উভয় ঈদেই দেখা যায় বিনোদনের নাম করে ইলেকট্রনিকস মিডিয়াগুলো এমন কিছু অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে যেগুলো নীতি-নৈতিকতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারে না। তরুণ-তরুণীদের আঁটসাঁট দৃষ্টিকটু পোশাকে অভিনয় ছোট্ট শিশুদের মনে দাগ কাটে, কিশোর-কিশোরীদের অন্যায় কল্পনায় উদ্বুদ্ধ করে; তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে উৎসাহ জোগায়। পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে না। কোরবানির শিা যেখানে নিজের কুপ্রবৃত্তিকে দমন করা, আত্মনিয়ন্ত্রণ করা, ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হওয়া সেখানে এসব অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে সমাজকে কলুষিত করা হয়। ছেলেমেয়েরা মুঠোফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অশোভনীয় বাক্য ও অশ্লীল ছবি বিনিময়ের মাধ্যমে নির্মল আনন্দকে পঙ্কিলতায় বদলে দেয়। নৈতিকতায় শক্তিশালী হওয়ার পরিবর্তে অনৈতিকতার ভয়ঙ্কর নখরে দংশিত হয়ে ত-বিত হয়ে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ত্যাগের শিা অর্জনের পরিবর্তে মোহ ও লোভের শিকার হয়। অতএব এসব অনুষ্ঠান বর্জন করে নিজের ঈমানি শক্তিকে উজ্জীবিত করতে হবে।
নির্মল আনন্দ, গঠনমূলক ও শিণীয় অনুষ্ঠান নির্মাণ দোষের কিছু নয়, বরং এটা সময়ের দাবি। তাই এ ধরনের অনুষ্ঠানাদি নির্মাণের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ ও কোরবানির শিায় অনুপ্রাণিত হতে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানসহ বৈচিত্র্যময় সঙ্গীতানুষ্ঠান যেমন হামদ-নাত, গজল ইত্যাদির সমম্বয়ে ‘ঈদ সন্ধ্যা’, ‘গজল সন্ধ্যা’, ‘ত্যাগের মহিমায় কোরবানি’ জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে।
লেখক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া