রাজধানীতে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তৌহিদী জনতার মিছিল সমাবেশ
রাসুল (সা.) ও হজের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও মন্ত্রব্য করায় মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বাদজুমা রাজধানীতে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের জলকামান, রায়টকার ও রণসজ্জা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মুসলিম জনতা লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে মুহুর্মূহু তাকবীর ও স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে। এসময় বিক্ষোভকারীরা জুতা ও ঝাড়ু প্রদর্শন করে। মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওলি-আউলিয়াদের এই পবিত্র জমিনে কোনো নাস্তিক-মুরতাদের স্থান হবে না। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আত্মস্বীকৃত মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আগামী ২৬ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে। এর আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লি প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এ আশঙ্কায় আজানের পরপর অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায়।
শুক্রবার সম্মিলিত ইসলামী দলগুলোসহ বিভিন্ন সংগঠনের পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে কর্মসূচির কারণে জুমা নামাজ শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ জাতীয় মসজিদের প্রবেশ দ্বারে অবস্থান নেয়। জুমার নামাজ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল বের করার চেষ্ট করলে পুলিশ বাধা দেয়। জনতার তীব্র স্রোতে পুলিশ উত্তর গেটের বারান্দায় নেমে আসতে বাধ্য হয় এবং সেখানে ব্যারিকেড দেয়। কিন্তু জনতার তোপের মুখে পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নিয়ে জাতীয় মসজিদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। মুসল্লিরা পুলিশ ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক সমর্থক মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে আবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এসে শেষ হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে দিনের কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বায়তুল মোকাররমে প্রবেশে কড়াকড়ি
হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের জের ধরে বিক্ষোভের আশঙ্কায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লি প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কয়েকটি ইসলামী দলের শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ করবে এ আশঙ্কায় আজানের পরপর অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায়। মুসল্লিদের তল্লাশি করে মসজিদে প্রবেশ করানো হয়। এছাড়া মুসল্লি প্রবেশও নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে অভিযোগ মুসল্লিদের। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আশরাফুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আজ কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আজকে পুলিশের এই অবস্থান।
সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ
সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের উদ্যোগে গতকাল সারা দেশে সকল জেলা, থানা ও সকল মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দেশের সর্ববৃহত্ জমায়েত ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে। র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের জলকামান, রায়টকার ও রণসজ্জা উপেক্ষা করে লাখো মুসলিম জনতা ঈমানী দায়িত্বে মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে মূহুর্মূহু তাকবীর ও স্লোগানে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে। জু’মা নামাজ শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ জাতীয় মসজিদের প্রবেশ দ্বারে অবস্থান নেয়। জু’মার নামাজ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। জনতার তীব্র স্রোতে পুলিশ উত্তর গেটের বারান্দায় নেমে আসতে বাধ্য হয় এবং সেখানে ব্যারিকেড দেয়। কিন্তু জনতার তোপের মুখে পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নিয়ে জাতীয় মসজিদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তৌহিদী জনতা পুলিশ ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ইসলামী নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে থাকে। এরপর পুলিশ পল্টন ওভার বী্রজের নীচে ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়। কিন্তু ইসলামী জনতার দৃঢ়তায় পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নিতে বাধ্য হয় এবং মিছিলটি পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলায় পৌঁছলে পুলিশ সেখানে মিছিলের গতিরোধ করে এবং কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে মিছিলটি সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে দিনের কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণা করে। উত্তর গেটের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, যুগ্ম মহাসচিব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম, মুফতি আজিজুর রহমান আজিজ, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর মাতুব্বর, মাওলানা শফিকুল ইসলাম ও মুফতি তাজুল ইসলাম কাওসারী প্রমুখ।
সমাবেশে মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ঈমান-আকিদা, পবিত্র হজ্জ নিয়ে বিষোদগার এবং মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তি করে আওয়ামী নেতা লতিফ সিদ্দিকী নাস্তিক মুরতাদদের কাতারে শামিল হয়েছেন। ওলি-আউলিয়াদের এই পবিত্র জমিনে কোন নাস্তিক-মুরতাদের স্থান হবে না। তিনি আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আত্মস্বীকৃত মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দীকিকে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় আগামী ২৬ অক্টোবর তৌহীদি জনতা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে।
তিনি বলেন, তৌহিদী জনতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছে। এই আত্মস্বীকৃত মুরতাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সচেতন জনতা কোনোভাবেই ঘরে ফিরবে না। সরকার তাকে বাঁচানোর জন্যই মন্ত্রীসভা থেকে বাদ ও দল থেকে বহিষ্কারের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু জনগণ আওয়ামী ষড়যন্ত্রে কখনোই বিভ্রান্ত হবে না। তিনি অবিলম্বে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় নাস্তিক-মুরতাদের দোসর হিসাবে সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।
ড. মাওলানা খলিলুর রহমান আল মাদানী বলেন, প্রিয় নবীজী (স.) এর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ কোরবানি করতে প্রস্তুত আছি। পবিত্র কালামে হাকিমের সুরা তাওবায় আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘কোন ঈমানের দাবিদার মহানবী (সা.) এর জীবন অপেক্ষা নিজের জীবনের অধিক মর্যাদা দিতে পারে না’। তাই নবিজী (সা.) এর সম্মান হেফাজত, ইসলামী বিধি-বিধান সংরক্ষণ ও দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের সকল কালাকানুন বাতিল করতে আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি। তিনি ঈমান-আকিদা ও ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, কোনো অশুভ শক্তির খুঁটির জোরে আওয়ামী নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী রাসুল (সা.) এর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও কটূক্তি করার মতো ধৃষ্ঠতা দেখালেন তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। মূলত সরকার তাকে মন্ত্রীসভা ও দল থেকে বহিষ্কার করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের এ ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেবে না বরং এই আত্মস্বীকৃত মুরতাদের সর্বোচ্চ সাজা দিতে সরকারকে বাধ্য করেই ঘরে ফিরবে। মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেন, নাস্তিক-মুরতাদের শাস্তির দাবিতে ইসলামী জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সরকার এই গণদাবি পাশ কাটানোর ষড়যন্ত্র করছে। তিনি মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি না দিলে ২৬ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালনের জন্য সর্বোস্তরের তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানান।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নেতৃবৃন্দ বাদ জুমা সমাবেশে বলেছেন, ইসলামের ৫ম স্তম্ভ হজ, মহানবী সা. এবং তাবলীগ জামাতকে নিয়ে জঘন্য কটূক্তির জন্য মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্ষমতাসীন মহল থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে জঘন্য সব কটূক্তি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে এই লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম, কুরআন, মাদরাসা শিক্ষা বিষয়ে প্রকাশ্যে কুত্সা ও বিদ্রূপ করেছে। সুতরাং অবিলম্বে নবী-রাসুল ও ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তরগেটে ঢাকা মহানগর জমিয়তের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। মাওলানা জহিরুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মুফতী শেখ মুজিবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, কারী আব্দুল খালিক আসআদী, মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ আরমান, যুব জমিয়তের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা শারফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী, ইমরানুল বারী সিরাজী প্রমুখ। পরে জমিয়তের মিছিলটি উত্তর গেট, পল্টন মোড়, হাউস বিল্ডিং, দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে পুনরায় উত্তর গেটে এসে শেষ হয়। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ যশোর মণিরামপুরে মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর জঘন্য উক্তির প্রতিবাদে আহূত মিছিলের মাইকিংকালে আটজন জমিয়ত কর্মীকে গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচার আইনে আটক দেখানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে আবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আলেম ওলামাদের উপর নির্যাতন আওয়ামী লীগের জন্য ভয়াবহ পরিণাম টেনে আনবে।
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পবিত্র হজ্ব ও মহানবী (সা.)কে নিয়ে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আপত্তিকর ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ও তার অপসারণ, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশে বক্তারা লতিফ সিদ্দিকীর হজ্ব, মহানবী সা. ও তাবলীগ সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং এ জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতারের পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সরকারের প্রতি দাবি জানান হয়। গতকাল বাদ জুম্মা সিলেট মহানগর, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, মৌলভীবাজার শহর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল মহানগরী, টাঙ্গাইল, ফেনীর মহীপাল, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল, ময়মনসিংহ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে।
খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বের নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এবং ইসলাম অন্যতম স্তম্ভ ফরয ইবাদত পবিত্র হজ সম্পর্কে আ: লতিফ সিদ্দিকী (কাজ্জাবী) যে জঘন্য দৃষ্টতাপূর্ণ কটূক্তি করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। তার এ বক্তব্য শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। মহানবী সা. ও হজ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে আ: লতিফকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা না হলে নবী প্রেমিক ইসলামী জনতার আন্দোলনের দাবানল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। তখন তার পৃষ্ঠপোষকরাও রেহাই পাবে না। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আলহাজ্জ আব্দুল মালেক চৌধুরী, মহানগর সেক্রেটারি হাফেজ মাও. আবু তাহের, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, কেন্দ্রীয় নেতা, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আজম খান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতী মামুনুর রশিদ, আলহাজ্জ আলী মাকসুদ খান মামুন ও মাওলানা সারোয়ার প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে এসে বাদ জুম্মা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং নগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নেতা মুফতী হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ছাত্রনেতা শেখ নুরুন্নবী ও ইলিয়াস হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, শ্রমিক নেতা মু. ঈমান উদ্দিন ও সৈয়দ ওমর ফারুক, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ নেতা অ্যাডভোকেট সর্দার মোঃ মানিক মিয়া প্রমুখ।