ব্রিটিশ রাজনীতিতে তরুণ বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের আহ্বান
যুক্তরাজ্যের মুলধারার রাজনীতিতে তরুণ বাংলাদেশিদের সম্ত্রৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত খ্যাতনামা ব্রিটিশ রাজনীতিকরা। আহ্বানকারীদের মধ্যে ব্রিটেনের ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া পাঁচ রাজনীতিক রয়েছেন।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির তরুণ নেতারা বলছেন, বর্তমানে পার্লামেন্টে ব্রিটিশ-বাংলাদেশির সংখ্যা পুরো দেশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত জনসংখ্যার অনুপাতকে প্রতিফলিত করে না।
বৃহস্ত্রতিবার পুর্ব লন্ডনে ‘মিট ইওর ফিউচার এমপি’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত তরুণদের এ আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় পাঁচ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রার্থীর সাফল্য উদযাপন করা হয়। ২০১৫ সালের নির্বাচনে পৃথক পাঁচটি আসন থেকে নিজ নিজ দলের হয়ে লড়বেন তারা।
উর্মি মাজহারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো থেকে নির্বাচিত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি রুশনারা আলী, লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ সিদ্দিক, লেবার পার্টির প্রার্থী ব্যারিসার আনওয়ার বাবুল মিয়া, লেবার পার্টির প্রার্থী রূপা হক ও কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী মিনা রাহমান।
পাঁচ ব্রিটিশ বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা অনুষ্ঠানে জানান। নিজেদের বক্তব্যে তারা স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণদের ব্রিটেনের মুলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেন।
তারা বলেন, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মাত্র একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি যথেষ্ট নয়। হাউস অফ কমন্স-এ যাওয়ার মতো আরও মানুষ বাংলাদেশি কমিউনিটিতেই আছে।
২০১০ সালে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে এমপি হিসেবে রুশনারা আলীর আত্মপ্রকাশের পর থেকে হাউস অফ কমন্সে আরও বাংলাদেশির মুখ দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কমিউনিটির সদস্যরা।
হাউস অব লর্ডসে ব্যারোনেস পলা মঞ্জিলা উদ্দিন ছাড়া আর কোনো বাংলাদেশি নেই বলেও উল্তেখ করেন বক্তারা।
প্রিডিয়ার চেয়ারম্যান ওয়াজেদ হোসেন সেলিম আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যাটারার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পাশা খন্দকার, ওল্ডহ্যামের কাউন্সিলর আবদুল জাব্বার ও ব্রিটেনের তারকা শেফ রাইস আলী।
অনুষ্ঠানের ষ্টিতীয় অংশের সঞ্চালনা করেন তালহা আহমেদ। ব্যারোনেস পলা মঞ্জিলা উদ্দিন জাতিগত সংখ্যালঘু সম্ত্র্রদায় থেকে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে অংশগ্রহণ করেন অর্ধসহস্রাধিক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি। এদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, চিকিত্সা পেশাজীবী, অ্যাকাডেমিক বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
২০০৯ সালে একটি অলাভজনক স্থানীয় সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রিডিয়া। বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায় সংগঠনটি।
গত চার বছরে প্রিডিয়া বেশকিছু গুরুত্বপুর্ণ উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘মিট দ্য কাউন্সিলরস’, ‘ব্রাইটেস ৫০’, ‘ব্রাইটেস ১০০’, ‘মুসলিম কানেক্স’, ‘হেলদি ইটিং ফেসিভ্যাল’ প্রভৃতি।