খুলনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১৩
খুলনার পাইকগাছায় দুই দফায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুন্দরবনের বনদস্যু কাশেম বাহিনীর প্রধান কাশেম আলীসহ ১৩ নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে ও দুপুরে এই বন্দুকযুদ্ধ সংগঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্য তিনজন হলেন- সবুর, মহসিন ও ইলিয়াস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশেমের নেতৃত্বে ভোর চারটার দিকে ডাকাত দল উপজেলার দেলুটা ইউনিয়নের জিরবুনিয়া গ্রামের প্রশান্ত ঢালীর বাড়িতে যায়। ডাকাতি শেষে তারা প্রশান্তকে বাড়ি থেকে তুলে আনার চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের আত্মচিত্কারে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন। তাদের ধাওয়ার মুখে ছুটে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাত সদস্যরা। প্রায় একই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সেখানে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত দলের দুই সদস্য নিহত হন। কাশেম আলীসহ ১১ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয় দফায় বন্দুকযুদ্ধ সংগঠিত দুপুরে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলী দৈনিক ইত্তেফাককে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কাশেম আলী জানায় তার কাছে এক বস্তা অস্ত্র আছে। পরে কাশেমের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আটক ১১ জনকে নিয়ে সুন্দরবনের কলাবগীতে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় ডাকাত দলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাশেমসহ ঐ ১১ জন নিহত হন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনায় আনা হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।