ঈদের পর সিএসইতে শরিয়াহ সূচক
ঈদের পর শরিয়াহ ও বেঞ্চমার্ক (সিএসই-৫০) নামে দুটি সূচক চালু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আগামী ১২ই অক্টোবর এ দুটি সূচক চালুর বিষয়ে ১১ই অক্টোবর একটি প্রেজেন্টেশন (প্রদর্শনী) দেয়া হবে। পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে অক্টোবরের মধ্যে আইপিও সূচক চালু করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ২২শে সেপ্টেম্বর শরিয়াহ ও বেঞ্চমার্ক সূচক চালুর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি পায় সিএসই। ওই দিন বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিএসই নতুন সূচক চালুর বিষয়ে ধারণা দেয়। বৈঠকে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) একটি প্রতিনিধি দলও উপস্থিত ছিল। এনএসইর সহযোগিতায় নতুন সূচক চালুর কাজ করছে সিএসই। সিএসই’র তালিকাভুক্ত ৬৩টি কোম্পানি শরিয়াহ সূচকে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং তা দেখা যাবে। এ ছাড়া বেঞ্চমার্ক সূচকে শেয়ারবাজারে সর্বাধিক লেনদেন হওয়া এবং প্রভাব বিস্তার করে এমন ৫০টি কোম্পানি থাকবে। এসব সূচকের ভিত্তি পয়েন্ট হবে ১ হাজার এবং ২০১৩ সালের ৩১শে জানুয়ারিকে ভিত্তি বছর ধরা হবে। এটি রিয়েল টাইম বা বাস্তব সময়ের ওপর ভিত্তি করে গণনা করা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি লেনদেন শূন্য সময় থেকে আপডেট করা হবে এবং অনলাইন ট্রেডিং সিস্টেমের মাধ্যমে সিএসই’র ওয়েবসাইটে সব ধরনের তথ্য প্রচারিত হবে। আর ৩ মিনিট পর পর ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ করা হবে। ইনডেক্স ম্যানেজমেন্ট কমিটি আইপিও সূচক গঠনের বিষয়ে সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবে।
এদিকে অভ্যন্তরীণভাবে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে শরিয়াহ, বেঞ্চমার্ক ও আইপিও ইনডেক্স চালু রয়েছে। বর্তমানে চালু থাকা সিএসইএক্স সূচককে বেঞ্চমার্ক সূচকে রূপান্তর করা হবে। এ বিষয়ে ২৫শে আগস্ট এনএসই ও সিএসই’র মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এই ইনডেক্স চালু হলে তারা সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। মোট ইনডেক্স বা সুনির্দিষ্ট ইনডেক্স দেখে তারা শরিয়াহভিত্তিক লেনদেন বা বিনিয়োগ করতে পারেন না। ইসলামী বিনিয়োগ গোষ্ঠী ধারণকৃত পোর্টফোলিও’র বাইরে বিনিয়োগও করেন না। তাই এ সূচক বিশেষ বিনিয়োগ গোষ্ঠীর জন্য সহায়ক হবে।
এ বিষয়ে সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসেন বলেন, আগামী ১২ই অক্টোবর শরিয়াহ ও বেঞ্চমার্ক সূচক চালু করা হবে। এজন্য ১১ই অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইপিও সূচক চালুর কথা থাকলেও এখন তা চালু হচ্ছে না। এ দুটি সূচক চালুর জন্য ইতিমধ্যে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র অনুমোদন পেয়েছি। ভারতের এনএসই’র সহায়তায় সূচকগুলো চালু করা হচ্ছে। আর আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কনসালটেন্ট বা পরামর্শক কোম্পানির শরিয়াহ্ বোর্ড দিয়ে ইসলামী ইনডেক্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শরীয়াহ বোর্ড ইসলামিক বিষয়গুলো অর্থাৎ কোম্পানিগুলো ইসলামী আইনকানুন মেনে চলে কি না তা যথাযথভাবে দেখবে।