শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল ফিতরের ১৮৬তম জামাত। শুক্রবার সকাল ১০টায় এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে রেওয়াজ অনুযায়ী বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে নামাজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। এবারের জামাতে ইমামতি করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
সকাল থেকেই ঈদগাহ ময়দানে দলে দলে মুসল্লিরা আসতে থাকেন। গত বছরের তুলনায় এবার ঈদুল ফিতরের এ জামাতে লোক সমাগম আরও বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি। এবার প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন শোলাকিয়া ময়দানে।
ঈদ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে এবারও ভৈরব এবং ময়মনসিংহ থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে আসে সকাল ৬টায়। দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিদেশি মুসল্লিরাও শোলাকিয়া ময়দানে নামাজ আদায় করেছেন।
জামাতে জেলা প্রশাসকসহ সর্বস্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। নামাজ শেষে বিশ্ববাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও মুসলিম উম্মার উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রসঙ্গত, মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতে সোয়া লাখ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নামকরণ করা হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’।
সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে এর নামকরণ হয়েছে শোলাকিয়া মাঠ। বিশাল এ মাঠের মধ্যে মোট কাতার রয়েছে ২৬৫টি। প্রতি কাতারে ৫ শতাধিক মুসল্লি নামাজে অংশগ্রহণ করে থাকেন।