হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিমত
আইএসআইএলের চেয়ে আমেরিকা বিশ্ব শান্তির জন্য বড় হুমকি
ইরাকের কথিত আইএস বা আইএসআইএল’র চেয়েও আমেরিকাকে বিশ্ব শান্তির জন্য বড় হুমকি বলে মনে করেন বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা । মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিয়াকলাপ এই ধরনের সংগঠন বিকাশের প্রধান কারণ বলেও দাবি করে তারা ।
এক শিক্ষার্থী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সম্রাজ্যবাদ ও তেল স্বার্থ সংরক্ষণ ইস্যু এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে এবং আইএসআইএল’র মত সংগঠনগুলোকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করছে ।
বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছে একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিলো, “বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি কে আমেরিকা নাকি আইএসআইএল”? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেছেন তারা বিশ্বাস করেন যে, বিশ্ব শান্তির জন্য আইএসআইএল নয় বরং সবচেয়ে বড় হুমকি আমেরিকা । গত শনিবার এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় এবং গত মঙ্গলবার সেই ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করা হয় ।
অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বলেছেন যে, মাধ্যপ্রাচ্যে যদি আমেরিকা অতীত কর্মকান্ড না চালাতো তাহলে আইএসআইএল’র আবির্ভাবই হত না।
এক শিক্ষার্থী বলেন, পশ্চিমা সভ্যতার ধারক হিসেবে আমরা যেসব সমস্যা মোকাবিলা করছি সেসব সমস্যার জন্য আমাদের নিজেদেরই দোষী সাব্যস্ত করতে হয় । আমরা নিজেরা আইএসআইএল সৃষ্টি করি নাই, আমার মনে হয় না একথা কেউ বলবে । অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরাই দায়ী ।
গত ৩০ জুন আইএসআইএল হঠাৎ করেই ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় এবং এর নাম পরিবর্তন করে ইসলামিক স্টেট (আইএস) করে ।
শুরু থেকেই বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে বিশ্বের মুসলমানরা আইএসআইএলের নিন্দা করে আসছে । এমনকি অনেক জায়গায় সংগঠনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে ।
গত আগস্টে স্নোডেনর উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি আরেকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে দাবি করা হয়, ” আইএস এর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি মোসাদ ও সিআইএ দ্বারা প্রশিক্ষিত”।
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ঐ প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয় যে, তার আসল নাম সায়মন ইলিয়ট এবং সে ইহুদি বাবা-মায়ের সন্তান । যদিও অনেকে বিষয়টিকে ভুয়া প্রচারণা হিসেবে দেখছে ।