ইউরোপীয়ান ডাইভারসিটি এওয়ার্ডস পেলেন কাউন্সিলর রাবিনা খান
টাওয়ার হ্যামলেটসের হাউজিং এর কেবিনেট মেম্বার রাবিনা খান ইউরোপীয়ান ডাইভারসিটি এওয়ার্ডস পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। সমাজে বর্ন-সাম্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কাউন্সিলর রাবিনা খানের উজ্জ্বল ভুমিকা রয়েছে। একজন রাজনীতিবিদ ছাড়াও তিনি সমাজে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব তার রয়েছে লেখক খ্যাতি এবং চলচ্চিত্র নির্মানের ব্যাপারেও রয়েছে তার ভুমিকা। তিনি বেশ কয়েকটি নভেল লিখেছেন এর মধ্যে গুড ওয়াইফ সরোউডেড’ অন্যতম।
রাবিনা খান মুসলিম মহিলাদের মর্যাদার আসনে তুলে ধরেছেন, তাদের কে রোল মডেল হিসাবে ইউরোপীয়ান সমাজে ইতিবাচক ভাবে তুলে ধরার প্রয়াস রয়েছে তার লেখনি ও কর্মকান্ডে। ইউরোপীয়ান ডাইভারসিটি এওয়ার্ডের পক্ষ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে আলোকপাত করে বলা হয়েছে রাবিনা খান মুসলমান মহিলাদের জন্যে সত্যিকারের প্রেরনার উৎস, তিনি সামাজিক বর্ন সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যে তার পেশা ও পারিবারিক সময় ও মেধা উৎসর্গ করেছেন। তিনি পুলিশ ও ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের সাথেও কাজ করেছেন। রাবিনা খান এসব কৃতিত্ব অর্জন করেছে লেখনির মাধ্যমে।
পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাউন্সিলর রাবিনা খান বলেন, আমি নিজেকে বিপুল ভাবে সম্মানিতবোধ করছি, ইউরোপীয়ান ডাইভারসিটি এওয়ার্ড স্বীকৃতি প্রদান করায় আমি তাদেরকে বিনয়ের সাথে আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই পুরস্কারটি এমন এক সময়ে প্রদান করা হয়েছে যখন সমাজে বিভক্তির বীজ বপন করার জন্যে অনেকে সচেস্ট , ঐক্যবদ্ধ ভাবে দাড়ালে কত কিছু যে অর্জন সম্ভব তা এই পুরস্কার দেখিয়ে দিয়েছে। বৃটেনে ও ইউরোপে বসবাসরত সাধারন পরিবারের মাতাদের যদি আমার কর্ম উজ্জীবিত করে তাদেরকে রাজনীতি ও জনজীবনে নিয়ে আসে এবং বিশেষ করে যদি তারা মুসলমান সমাজে ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারেন তাহলে এটাই হবে আমার বিরাট অর্জন।
টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র ল্ফুুর রহমান বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে কাউন্সিলর রাবিনা খান সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে গিয়ে স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমি এ জন্যে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি ও ধন্যবাদ জানাচ্চিছ।
উল্লেখ্য যে, ইউরোপীয়ান ডাইভারসিটি এওয়ার্ডের জন্যে আইটিএনের ম্যানেজিং এডিটর রবিন ইলিয়াস ও কমেডিয়ান অভিনেত্রী ফ্রান্সিসকা মার্ঠিনেজ সহ ৮ জন বিশিষ্ঠ মহিলা শর্টলিস্টে স্থান পেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারি বিবিসির সংবাদ পাঠক জেইন হিল বলেছেন যে, ইউরোপীয় ডাইভারসিটি এওয়ার্ড বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন লিঙ্গ, শারীরিক অক্ষমতা, যৌণ ঝোক, বয়স, সংস্কৃতি, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে সারা ইউরোপ জুড়ে যে বিবর্তন ঘটছে এবং যারা এসব ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন তাদেরকে স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে।
এ বছরের বিচারদের মধ্যে বেরনেস ডরেন লরেন্স লেবার পার্টির এমইপি মাইকেল ক্যাশম্যান ও বিবিসি নিউজ নাইট উপস্থাপক ইভান ডেভিস সহ ব্যাংকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ও পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।