বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষে সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করলে বিএনপি আন্দোলনে যাবে না বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার যদি লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে তাহলে আমরা আন্দোলন করবো না। জনগণ যে রায় দেয় তা মেনে নিবো।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষে সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
মহাজোট সরকারের উন্নয়ন বিলবোর্ড নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করে তারা নিজেদের প্রচার করছে। ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এই প্রচারণা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া তা সম্ভব নয়। কারণ সরকার প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, আদালতকে দলীয়করণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ ও সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক দাবি জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকার যদি দেশ ও মানুষকে ভালোবাসে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূনর্বহাল করে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দেবে। যদি তারা দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে থাকে তাহলে প্রচারণা না চানিয়ে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক বিল পাশ করুন।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। আমরা সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে দেশকে এেিগয়ে নিতে চাই।
দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, সরকারের দু:শাসনে দেশের মানুষ ভালো নেই তারা শান্তিতে ঈদ করতে পারছে না। দেশের জনগণের সাথে ঈদ করতে পেরে বেগম খালেদা জিয়া সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে ঈদের শুভেচ্ছ বিনিময় করেছেন। সর্বস্তরের জনসাধারনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। জনগণই আমার পরিবার। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ। আমি আনন্দিত।
এর আগে সকাল ১১টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য মঞ্চে ওঠেন তিনি। এসময় তিনি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে জে. (অব). মাহবুবুর রহমান, আসম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান, বিরোধী দলীয় নেতার একান্ত সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।
ব্যারিস্টার রফিক উল হক,চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব চাষী নজরুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিজেএমইএ নেতা আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাজাহান ওমর, এম এ মান্নান, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার,সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আরা সাফা, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায়, ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল,চৌধুরী, নিলোফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরিন খান, রেহেনা আক্তার রানু, জাসাস কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এ মালেক, ওলামা দলের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মালেক, জামায়েতর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ড. আব্দুল্লাহ মো. তাহের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটির্র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পাটির্র সভাপতি ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, পিপলস পাটির্র গরীবে নেওয়াজ, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন বিএনপির সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহা উদ্দিন টুকু, ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী শপু, যুব দলের এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
বেলা সোয়া ১২টার দিকে বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, নেদারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ।
শুভেচ্ছ বিনিময় শেষে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতিহা পাঠ করবেন। মোনাজাত শেষে গুলশানের বাসায় ফিরবেন তিনি।