গাজা পুনর্গঠনে কায়রোয় দাতাদের সম্মেলন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠন কাজে তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা গতকাল রোববার কায়রোয় এক সম্মেলনে মিলিত হন। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনা আবার শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় ১০০ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিসহ ৩০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন গাজা পুনর্গঠনে ১৬০ কোটি ডলারের রেকর্ড পরিমাণ সহায়তা চেয়েছেন। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিন সরকার গাজা পুনর্গঠনে তাদের ৭৬ পৃষ্ঠার একটি পরিকল্পনা প্রকাশ এবং ৪০০ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
সহায়তার বেশির ভাগ অর্থ বাড়িঘর নির্মাণে ব্যয় হবে বলে পরিকল্পনায় বলা হয়।
চলতি বছর জুলাই ও আগস্টে ইসরাইলি আগ্রাসনে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন এক লাখ গাজাবাসী। যুদ্ধে কেবল ঘরবাড়ি নয় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে অফিস, আদালত, জাতিসঙ্ঘ শিবির এমনকি মসজিদও। ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের প্রায় দুই হাজার ২০০ লোক এবং ইসরাইলের ৭৩ জন নিহত হয়।
কায়রো সম্মেলনের আগে জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক শরণার্থী সংস্থা বলেছে, গাজার জন্য ব্যাপক আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। দাতাদের এ সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কূটনীতিকেরা অংশ নিচ্ছেন। এতে অংশ নিচ্ছে আমেরিকাও। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করছে দেশটি। একই সাথে ভবিষ্যতে আরো যুদ্ধ হতে পারেÑ দাতাদের এমন আশঙ্কার কথাও বলে বেড়াচ্ছে আমেরিকা। ফিলিস্তিনে ইউরোপীয়ান দূত জন গ্যাট রাটার বলেন, ‘গাজার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হচ্ছে, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যকার রাজনৈতিক সমঝোতা’।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার চলা ৫০ দিনের যুদ্ধ গত ২৬ আগস্ট এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। যুদ্ধে দুই হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের অধিকাংশ সাধারণ নাগরিক। অপর দিকে, যুদ্ধে ৬৬ জন ইসরাইলি সেনা এবং সাত সাধারণ নাগরিক নিহত হন।