বনানী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত ড. পিয়াস করিম
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বনানীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ জুমা দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে আসা হয়।
দ্বিতীয় জানাযার আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির বাইতুল আমান জামে মসজিদে প্রথম দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে ড. পিয়াস করিমের মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে আনা হয়।
সেখানে দক্ষিণ গেটে দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন আহমেদ নামাজে জানাজা পড়ান এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।
এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভনর্র ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান নামাজে জানাজায় শরিক হন।
নামাজে জানাজার আগে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. পিয়াস করিমের ছোট ভাই ড. জহির করিম মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থণা করেন।
তার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তার মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে ধানমণ্ডির ৭ নম্বর সড়কের ৩২ নম্বর বাসায় আনা হয়। সেখানে মরদেহ আত্মীয়-স্বজনের জন্য কিছু সময় রাখা হয়।
আত্মীয়-স্বজনের জন্য কিছু সময় রাখার পর বাসা সংলগ্ন ৭ নম্বর রোডে বাইতুল আমান জামে মসজিদে মরদেহ রাখা হয়। সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
প্রসঙ্গত, ১৩ অক্টোবর ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশিষ্ট্য এই শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।