লতিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জমিয়তুল উলামা ইউকের সমাবেশ

Jomiatulলতিফ সিদ্দিকীর কটূক্তির প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জমিয়তুল উলামা ইউকে সমাবেশ করেছে। বুধবার পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্ট জমিয়তুল উলামা ইউকের উদ্যোগে এ সমাবেশ ডাকা হয়।
জমিয়তুল উলামা ইউকের সভাপতি মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আনাছ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা কাওসার আহমদ পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তুল উলামা ইউরোপের সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি শাহ সদর উদ্দিন।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতা সৈয়দ মামনুন মোর্শেদ, খেলাফত মজসিল ইউকের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল কাদির সালেহ, বিএনপি নেতা শামছুল আলম চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা, জমিয়ত নেতা মাওলানা মঈনুল হক চৌধুরী, সাংবাদিক কলামিস্ট আবু সুফিয়ান চৌধুরী, শিহাবুজ্জামান কামাল, আমিনুর রশদি।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জমিয়ত নেতা মাওলানা আবদুল্লাহ। সার্বিক অনুষ্ঠান তত্তাবধানে ছিলেন- জমিয়াতুল উলামা ইউকের সহ সেক্রেটারী মাওলানা আহমদ মাদানী। স্বেচ্ছাসেবক জমিয়ত ইউকের আহবায়ক মাওলানা সাজ্জাদুর রহমান আনসারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাসুদুল হাসান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর কাজী আবদুস শহীদ, প্রচার সম্পাদক প্রফেসর জুনেদ আহমদ তুহিন।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা শরীফ উদ্দিন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি শাহ তালহা আবদুল্লাহ, মুফতি হামজা আহমদ, হাফিজ হুজাইফা উদ্দিন, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন- তার এ বক্তব্যে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষই প্রকাশ পায় নাই; বরং ইসলাম সম্পর্কে তার চরম অজ্ঞতা এবং মুর্খতাই প্রকাশিত হয়েছে। মহানবী (সা:), হজ ও তাবলীগ জামাত সম্পর্কে তার বক্তব্য ধৃষ্টতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। সালমান রুশদী, দাউদ হায়দার এবং তসলিমা নাসরিনের মতোই সে দম্ভোক্তি করে বলে যে, সে তার বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত নয়, তা প্রত্যাহারেরও প্রশ্ন উঠে না- যা বলেছে সে তার দায়িত্ব নিয়েই বলেছে। এরপর তার কাছ থেকে কোন ভব্য আচরণ আশা করা যায় না। তারা বলেন সে একজন স্বঘোষিত মুরতাদ।
মুফতি সদর উদ্দিন বলেন, লতিফ সিদ্দিকী এই ধৃষ্টতা দেখাবার সাহস কিভাবে পায়, আমাদেরকে তার গোড়ায় যেতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা হলো বাংলাদেশে নাস্তিকতার মূল কারণ। বাংলাদেশ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে উৎখাত করতে হবে।
মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ বলেন, লতিফ সিদ্দকীর বিচারে কোন রকম টাল বাহানা দেশের তাওহিদী জনতা মেনে নেবে না। এখন পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীর কুটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল না করা সরকারের দুর্বিসন্ধিরই বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button