সিরীয় শরণার্থীদের জন্য ইউরোপ খুলে দেয়ার আহ্বান
সিরীয় শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা৷ এদিকে ইরাক ও সিরিয়ার শরণার্থীদের শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী দেবে একটি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা৷ সিরিয়া থেকে গড়ে প্রতি মিনিটে একটি শিশু দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে’ – এ কথা জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান আন্তনিও গুতেরেস বলেন, ‘‘মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী সমস্যা সারা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ এটা শুধু গত কয়েক দশকের মধ্যে জঘন্যতম মানবিক বিপর্যয়ই নয়, আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্যও এটা বড় ধরনের হুমকি৷”
এ সময় তিনি বিশ্বের সব দেশ, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোকে সিরিয়া ছাড়তে বাধ্য হওয়া শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখারও আহ্বান জানান৷
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ২৭ লাখ সিরীয় প্রাণ বাঁচাতে নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে৷ তাদের বেশিরভাগই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে৷ এ ছাড়া ৬৫ লাখ সিরীয় ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হলেও সিরিয়া ভেতরেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ৷
সিরিয়ার কোবানিতে চলছে আইএস-বিরোধী বিমান হামলা৷ লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তের কোবানি শহরের এক-তৃতীয়াংশ দখল করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট৷
এদিকে বৃষ্টি এবং আসন্ন শীতের কষ্ট থেকে বাঁচাতে ইরাক ও সিরিয়ার শরণার্থীদের শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী দেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি’ (আইআরসি) নামের একটি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা৷ ইরাকের আনবার প্রদেশ এবং সিরিয়ার কোবানি শহরের ওপর সুন্নিদের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হামলা এখনো চলছে৷ ফলে প্রতিদিন শরণার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে৷ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আনবার প্রদেশের কুবালসা এবং হিত শহর দুটি দখল করে নেয় আইএস৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, আইএস-এর আক্রমণের মুখে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ হিত ছেড়েছে৷ তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরীয় শহর কোবানি থেকেও অসংখ্য মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দেশান্তরী হয়েছে৷ কোবানির অন্তত ৫ হাজার ৪শ বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছে ইরাকে৷ আগামীতে আরো ১৫ হাজার মানুষ কোবানি ছাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷