আইএস দমনে ইরাকে ব্রিটিশ ড্রোন
আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত রিপার ড্রোন পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের ফরেন সেক্রেটারি ফিলিপ হ্যামন্ড জানান, এই ড্রোন ইরাকে সার্ভিলেন্স অপারেশন চালাতে সহায়তা করবে। এ বিষয়ে ব্রিটেনের ডিফেন্স সেক্রেটারি মিশেল ফ্যালন বলেন, এর মাধ্যমে ব্রিটেনের আঘাত করার ক্ষমতা বোঝা যাবে। হ্যামন্ড হাউজ অব কমনসকে জানান, আমরা আফগানিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রিপার মোতায়েন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, আফগানিস্তানের সামরিক ঘাঁটি থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আঘাত হানবে রিপার ড্রোন। রিপার ড্রোনে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র থাকে।
এদিকে, মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ জর্জ ডাব্লিউ বুশের জায়গায় মধ্যপ্রাচ্যে এসেছে কার্ল ভিনসেন ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ। গত ৮ আগস্ট থেকে জর্জ ডাব্লিউ বুশ জাহাজ হতে ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর আইএস জেহাদিদের ওপর বোমা হামলা চালিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য, এ হামলার ধরন ও কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। স্টার অ্যান্ড স্ট্রাইপ পত্রিকা জানিয়েছে, নতুন আসা কার্ল ভিনসেন গ্রুপে রয়েছে গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস বাংকার হিল, গাইডেড মিসাইল ড্রেস্ট্রয়ার্স ইউএসএস গ্রিডলি, ইউএসএস স্টেরেট এবং ইউএসএস ডিভেই। ধারণা করা হচ্ছে, কার্ল ভিনসেন স্ট্রাইক গ্রুপে থাকবে কয়েক ডজন বোমারু বিমান এবং অ্যাডভ্যান্সড মাল্টি-রোল কম্ব্যাট বিমান।
জর্জ ডাব্লিউ বুশের জায়গায় কার্ল ভিনসেন মোতায়েন নিয়ে স্টপ ন্যাটো ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্কের ম্যানেজার রিক রজফ ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মার্কিন সরকার এই যে যুদ্ধাজাহাজ মোতায়েন করছে এবং ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে সে জন্য অনুমতি নেয়নি, এমনকি পরামর্শ করারও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী কায়দায় ওবামা প্রশাসন এগুলো করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আল- জাজিরা