এম এ মালেকের নেতৃত্বে ইতালিতে হোটেল স্যুটে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ শেখ হাসিনা
সিটিজেন মুভমেন্ট ইউকের আহ্বায়ক এম এ মালেকের নেতৃত্বে ইতালিতে এবার অবরুদ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ইতালির রাজধানী মিলানের বালিয়ানো বিও সেনাটোতে অবস্থিত শেখ হাসিনার হোটেল স্যুট প্রায় তিন ঘন্টা ঘিরে রাখে। ফলে হোটেল থেকে বের হতে না পেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। এ সময় হাসিনা বিরোধী নানা স্লোগানে মুখরিত হয় হোটেল এলাকা। সিটিজেন মুভমেন্ট, মিলান বিএনপি ও ২০ দলীয় ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে হোটেল স্যুটের বাইরে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কমিশনার স্টিফেন লরেন্সের নেতৃত্বে শত শত পুলিশ হোটেল এলাকায় অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনাকে সর্বত্র প্রতিরোধ করা হবে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
শেখ হাসিনাকে তিন ঘন্টাব্যাপী হোটেল কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার সময় সাংবাদিকের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সিটিজেন মুভমেন্ট ইউকের আহ্বায়ক এম এ মালেক। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। তাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশে যে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ আর তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। র্যাব কর্তৃক গুম, খুন আর ক্রসফায়ারের ঘটনা রক্ষীবাহিনীকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাই এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তিনি অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান। এম এ মালেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অখন্ডতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আঁঁতাত করে ক্ষমতায় আঁঁকড়ে আছে। তাই বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে রাখবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে যারা সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এরা কখনো দেশ ও জাতির বন্ধু হতে পারে না। এরা মানবতার শত্রু ও গণতন্ত্র হরণকারী হিসেবেও চিহ্নিত।
এম এ মালেক বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততই শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মন্তব্য দিয়েছে। তাই আজ এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মিলান বিএনপির সভাপতি এমদাদ হাসান খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোঃ মনির, সহ-সভাপতি শাহীন মাহমুদ হাওলাদার, কাজী দিপু, নুরুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হারুণ অর রশিদ, মিলান স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান মোল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি রকিব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল পাশা, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, বিএনপির উপদেষ্টা দেওয়ান রফিকসহ সাধারণ সম্পাদক হোসেন মোঃ রতন, জাহানদার তালুকদার, মীর হোসেন বিপ্লব, সহ-সভাপতি আফসার উদ্দিন, আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গাফফার, সদস্য খোকন মাতব্বর, বাবুল হোসেন, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, রবিন সিকদার, কবিতা সিকদার, জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজ উদ্দিন, যুক্তরাজ্য যুবদল নেতা রহিম উদ্দিন, মিলান যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তালুকদার শফিকুল ইসলাম মিঠু, যুবদল নেতা ময়েজুর রহমান, তালুকদার ফখরুদ্দিন, জীবন রহমান, জুয়েল বরিশালী, জুয়েল আহমদ তালুকদার, হাওলাদার মিজান, আসাদুর রহমান, ইসলামিক ফোরামের নাছির উদ্দিন প্রমুখ।