হবিগঞ্জের আগামী মেয়র

Amran“হবিগঞ্জের আগামী মেয়র” শিরোনামটি নিছক কোন অবতারণা নয়। প্রসঙ্গটির গভীরতা প্রকাশের জন্য এমনটি করা হয়েছে। হবিগঞ্জের আগামী মেয়র কে হচ্ছেন, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা-কল্পনা। সময়ের গতিপ্রবাহে বিষয়টি আরো নিবিরতা পেয়েছে। ইতিমধ্যে অসংখ্য প্রার্থী সম্ভাব্যের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু নাগরিকদের চিন্তা-চেতনায় যে নামটি তরঙ্গ সৃষ্টি করেছে, আবেদনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে মূলত: তাকে নিয়েই শিরোনামটি নির্মাণ করা হয়েছে। সুন্দর আগামী পেৌরসভা বিনির্মাণে প্রার্থীর বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি হবে, নাগরিক ভাবনার যোগসূত্র তিনি কিভাবে উপস্থিত করবেন, প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি-এই বিষয়াবলী নিয়েই শিরোনামের অবতারণা হয়েছে।
খোয়াই বিধৌত শান্তি সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির এক অপরূপ মহিমা হবিগঞ্জের এই জনপথ। বছরের বেশীর ভাগ সময় খোয়াই যেভাবে শান্তির সুবাতাস ছড়ায়, তেমনি মানুষের মাঝেো বিরাজ করে পরস্পর শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির অটুট বন্ধন। ঠিক তেমনি সে উন্মত্ত অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে; এখানকার মানুষও তাই। সময়ের প্রবাহে ‍’খোয়াই আর মানুষ’ চারিত্রিক দিক দিয়ে এক হয়ে উঠে। এই চরিত্রের মানুষ; আলোচিত চরিত্র। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে তিনি মেয়র প্রার্থী। তিনি এই প্রজন্মের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমিনুর রশীদ এমরান। তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ঘিরে এই জনপথের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আস্থা ও নির্ভরতা তৈরী হয়েছে। ৮০ দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে তার অভিষেক ঘটে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী (বি.এন.পি) হবিগঞ্জ পৌর শাখার পরপর দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক।
ছাত্রজীবনে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে এক ইতিহাস তৈরী করেন। দলগত ভাবে নিজের প্যানেল তৃতীয় অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও তিনি ছাত্রসংসদ নির্বাচনে রেকর্ড পরিমাণ ভোটে প্রথম এজিএস নির্বাচিত হয়ে নিজের আগমন বার্তা জানিয়ে দেন। মেধাবী সাবেক ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এল.এল.বি ডিক্রী অর্জন করেন। রাজনীতির মাঠে সার্বক্ষণিক থাকার জন্য আইনকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন নি। এতে কারে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার পর্যাপ্ত সময় পেয়েছেন। স্বচক্ষে দেখেছেন এই জনপথের প্রতিটি অলি-গলি আর মানুষের সমস্যা ও সম্ভাবনা। তার এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর জন্য আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি পৌরসভার আবহ নির্মাণে সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য পৌরবাসীর ম্যান্ডেট কামনা করেছেন। দাম্ভিকতার বাইরে শাসন-শোষণের পরিবর্তে জনগণের উজ্জীবিত ভালবাসা নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি পৌর নাগরিকের ভোগান্তির প্রতিটি বাতায়ন রুদ্ধ করে সেবার প্রধান ফটক খোলে দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার ধারক ও বাহক খোয়াই বিধৌত এই জনপথের একজন প্রিয় মানুষ দল ও মতের বাইরে থেকে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে মেয়র পদে লড়বেন। হবিগঞ্জ পৌরবাসী যদি তার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতার সকল মাত্রা বাড়িয়ে আপনজনের তালিকায় নাম উঠিয়ে রাখেন, তবে আমিনুর রশীদ এমরান হবেন আগামী মেয়র। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে পৌরবাসীর মনে উ-কণ্ঠার যে মেঘ জমেছে, সেবার নামে দাম্ভিকতার যে উন্মাদনা প্রকাশ পেয়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য, স্বস্তির সকল বাতায়ন খোলে দেয়ার জন্য আমিনুর রশীদ এমরান কি হতে পারে না- হবিগঞ্জের আগামী পৌর মেয়র?

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button