ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তরগেটে পুলিশ ও ইসলামী আন্দোলন কর্মীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সোহরাওয়াদী উদ্যানে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন সোমবার বিকাল তিনটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে এই সংঘর্ষ হয়। এতে দুই শতাধিক নেতা কর্মী আহত এবং প্রায় এক শ’ নেতা কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়্যম দাবি করেছে। আহতদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনও রয়েছে।
হজ, মহানবী ও তাবলীগ জামাত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবিতে ইসলামী আন্দোলন আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ শেষ পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আগত নেতা কর্মীরা।
মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম জানান, সমাবেশকে সামনে রেখে সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতা কর্মী পল্টন এলাকায় আসতে থাকে। এক পর্যায়ে বিুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিলে হামলা করে। এ সময় পুলিশ, টিয়ারশেল, লাঠিচার্জ ও গুলি চালায়। তিনি জানান, ঘটনায় তিনি নিজেসহ দুই শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট এলাকা থেকে এবং পরে দণি গেট এলাকা থেকে শতাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে।
এদিকে বিকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এব সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের সমাবেশের অনুমতি না দেয়া এবং বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি এর প্রতিবাদে আগামী ২২ অক্টোবর সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসুচী ঘোষনা করেন।
এছাড়া লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবিতে ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে ও ১৪ নভেম্বর খুলনায় এবং ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেন।