মহারাষ্ট্রে প্রার্থী দিয়েই জয় পেল মুসলিম সংগঠন
ভারতের মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম প্রার্থী দিয়েই জয়ী হলো মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন নামের একটি মুসলিম সংগঠন। দলটি হায়দরাবাদভিত্তিক হলেও এবারই তারা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে পা রেখেছে। ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে তারা জয় পেয়েছে দুটি আসনে।
মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা ‘মিম’-এর নেতা সংসদ সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত এবং সাংগঠনিক শক্তির ভিত্তিতে এই জয় পেয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। মিম এককভাবে এবং কয়েকটি জায়গায় রিপাবলিকান পার্টি ও দলিত প্যান্থারস পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
মিমের প্রার্থী ইমতিয়াজ জলিল আওরঙ্গাবাদ সেন্ট্রাল আসনে জিতেছেন। তিনি ২০,০০০ ভোটে শিবসেনার সাবেক এমপি এবং সাবেক মেয়র প্রদীপ জয়সোয়ালকে পরাজিত করেছেন। এর আগে ইমতিয়াজ জলিল ভারতের একটি টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেতেন। অন্যদিকে বাইকুল্লা আসনে জিতেছেন ওয়ারিস ইউসুফ পাঠান। তিনি বিজেপির মধুকর চৌহানকে ১,৩৫৭ ভোটে পরাজিত করেছেন। সেখানে অখিল ভারতীয় সেনার প্রার্থী ছিলেন অরুণ গাওলির মেয়ে গীতা গাওলি। শিবসেনা সেখানে কোনো প্রার্থী দেয়নি। তারা গীতা গাওলিকেই সমর্থন জানিয়েছিল।
হায়দরাবাদভিত্তিক ‘মিম’-এর এই জয়কে রাজনীতিতে নাটকীয় উত্থান বলে মনে করা হচ্ছে। ভূমিপুত্র রাজ ঠাকরের এমএনএস দল যেখানে ২১৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে সেখানে বাইরে থেকে এসেই প্রথম পরীক্ষাতে নাটকীয়ভাবে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল সফল হয়েছে। এর ফলে এটি এখন রীতিমতো রাজনৈতিক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে এমএনএস দল। ২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে নতুন দল করেছিলেন রাজ ঠাকরে। ২০০৯-এর বিধানসভা নির্বাচনে তারা ১৩টি আসন পেয়েছিল। তারপরও দলটি এবার শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে।