বিসিএ অ্যাওয়ার্ড ও গালা ডিনার ২ নভেম্বর
আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বৃটেনের কারী ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে বৃহৎ ও জমজমাট আয়োজন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) অ্যাওয়ার্ড ও গালা ডিনার। সেন্ট্রাল লন্ডনের অভিজাত হোটেল গ্রোভেনার হাউজের দ্যা গ্রেট হলে বিসিএ নবম বারের মতো অ্যাওয়ার্ড ও ৫৪ বছরপূর্তি উদযাপন করবে। এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে বিসিএ বৃটেনের সেরা কারী হাউজ ও সৃজনশীল শেফদের স্বীকৃতি দিবে। সোমবার পূর্ব লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার ও সেক্রেটারী জেনারেল এম এ মুনিম। সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএ’র প্রেস এন্ড পাবলিকেশনস সেক্রেটারী আনিছ চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিসিএ‘র অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বরাবরই বৃটেনের বিভিন্ন স্তরের সেরা সেলিব্রেটিরা অংশ নেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় আছেন হাউজ অব লর্ডস, হাউজ অব কমন্স এর সদস্য, ব্রিটেনের মূলধারার সেলিব্রিটিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ। তিনি বলেন, সহস্রাধিক দর্শকের উপস্থিতিতে, ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি ও সমসাময়িক বিনোদনে ভরপুর রাতটি উপভোগ্য হয়ে উঠবে কারী লাভারদের কাছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অতিথিরা কারী ইন্ডাষ্ট্রিতে প্রসিদ্ধ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মিলিত হবার সুযোগ পাবেন।
কারী শিল্পে যে সকল সৃজনশীল শেফ তাদের রন্ধন শৈলী দিয়ে কারীকে জনপ্রিয় করে চলেছেন, বিসিএ ইতিমধ্যে গত ৭ অক্টোবর হ্যামারস্মিথ এন্ড ওয়েস্ট লন্ডন কলেজে বর্নাঢ্য আয়োজনে দিনব্যাপী শেফ প্রতিযোগিতায় চুড়ান্ত আসরে ১০ জন সেরা শেফ নির্বাচিত করেছে। তাদেরকে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ‘শেফ অফ দ্যা ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে এবং কারী শিলেপর অবদানের স্বীকৃতি হিশেবে ১ জন ব্যক্তিকে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওলি খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজল উদ্দিন ও অ্যাওয়ার্ড কমিটির কনভেনার কামাল ইয়াকুব, ভাইস প্রেসিডেন্ট জামাল উদ্দিন মকদ্দুস, মোহাম্মদ ইউসুফ সেলিমসহ বিভিন্ন রিজিওনের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিসিএ প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার বলেন, ‘অন্যান্য ব্যবসার মত আমাদের ব্রিটিশ কারী ইন্ডাস্ট্রিও সবচেয়ে কঠিণ সময় পার করছে, বিসিএ এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছে এবং এ ব্যাপারে কমিউনিটির পাশাপাশি মিডিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন। এমন কঠিণ সময়ে রেস্টুরেন্টারদের একতাবদ্ধ হয়ে সম্মিলিত ঐক্যেও মাধ্যমে সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ভিএটি বৃদ্ধি, ইমিগ্রেশন রেইড, স্টাফ সংকট মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এসব সসম্যা থেকে উত্তরনের জন্য বিসিএ সারা বছর ক্যা¤েপইন করেছে। সরকারের উচ্চ মহলেও এ নিয়ে অনেক লবিং ও ক্যাম্পেইন অব্যাহত রেখে চলেছেন বিসিএ নেতৃবৃন্দ। তবে কারী অ্যাওয়ার্ডে আমন্ত্রিত বৃটিশ নীতি নির্ধারকদের সামনে এই বিষয়গুলো আবারো উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বিসিএ সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মুনিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, রেস্টুরেন্টের ব্যস্ত সময়ে ইমিগ্রেশন রেইড অনেকটা কমে আসছে বিসিএ’র ক্যাম্পেইনের কারনে। এ ক্ষেত্রে হোম অফিসের সাথে একাধিক বৈঠকের কথা তিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েকটি রিজিওনে ইমিগ্রেশন রেইড আগের চেয়ে কম হচেছ। আশাকরি আগামীতে এ সমস্যা অকেটা কেটে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিসিএ হচ্ছে সেরা ক্যাটারার এবং শেফদের নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পরিশ্রম, কৃতিত্ব এবং অর্জন মানুষের কাছে তুলে ধরার একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম।’