কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে ইইউ
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ৪০ শতাংশ হ্রাস করতে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে ব্যাপক তর্কবিতর্কের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
সম্মেলনে আলোচনাকালে কয়েকজন সদস্য তাদের বিভিন্ন স্বার্থ সুরক্ষার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। কয়লার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল দেশগুলো এবং ব্যাপক নিঃসরণ হ্রাসে আগ্রহী দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে এই চুক্তি হয়েছে। পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা বলেছেন, এটাই পর্যাপ্ত নয়।
ইইউ মোট জ্বালানির ২৭ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং জ্বালানি সক্ষমতা কমপক্ষে ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির ব্যাপারে একমত হয়েছে। সম্মেলনে নিঃসরণ হ্রাসে ইইউর মধ্যে ব্যাপক বিভক্তি লক্ষ করা গেছে। কয়লার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল পোলান্ড আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, কার্বনমুক্ত করার ফল হিসেবে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাবে। ইউরোপের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের অনেক দেশ পোলান্ডের সাথে কণ্ঠ মিলিয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভ্যান রম্পি বলেন, চুক্তির ফলে ইইউর কিছু দরিদ্র সদস্য অতিরিক্ত সহায়তা পাবে। যুক্তরাজ্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষত বায়ু, সৌর ও জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিরোধিতা করে।
ভ্যান রম্পি শুক্রবার টুইটারে লেখেন, ‘চুক্তি! ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নিঃসরণ হ্রাস করতে হবে। বিশ্বেও সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী, মূল্য সাশ্রয়ী, ন্যায্য জ্বালানি নীতিতে সম্মত হওয়া গেছে।’
জলবায়ু কর্মপরিকল্পনাবিষয়ক ইইউ কমিশনার কন্নি হেদেগার্ড বলেন, তিনি খুবই গর্বিত যে, নেতৃবৃন্দ জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসাথে কাজ করতে সক্ষম হবেন। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপ এগিয়েছি’। ইতঃপূর্বে ইইউ ২০২০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ ২০ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।