বাংলাদেশ ও আমিরাতের মধ্যে ৩ চুক্তি স্বাক্ষরিত
বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করতে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল বিকেলে বাংলাদেশের সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের প্রশাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের মধ্যে বৈঠক শেষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিগুলো হচ্ছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বন্দী বিনিময় এবং ঢাকায় ইউএই দূতাবাস নির্মাণে জমি হস্তান্তর।
প্রথম দুই চুক্তি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ইউএইর অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সাইফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং অপর চুক্তিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও ইউএইর পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগে বাধা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব-আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করতে সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকেলে দুবাইয়ের জাবেল প্যালেসে ইউএইর প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সাথে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্র সচিব মো: শহীদুল হক বৈঠক শেষে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেস সেক্রেটারি এ কে এম শামীম চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব হক বলেন, অত্যন্ত উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
হক আরো বলেন, বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও চট্টগ্রামে টেকনাফ থেকে মিরেরসরাই পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভওয়ে নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্রুত উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দেশটির উন্নয়নে বাংলাদেশের শ্রমিকেরা শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন।
জবাবে মাকতুম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।