সবার অবৈধ সম্পদ কেড়ে নিতে হবে : ড. মিজান

যেসব ব্যক্তির কাছে অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে তা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেড়ে নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, শোনা যাচ্ছে ধর্ম বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত লতিফ সিদ্দিকী হয়েছেন বিপুল পরিমাণের অবৈধ সম্পদের মালিক। শুধু লতিফ সিদ্দিকী নন, যারাই অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের হাত থেকে রাষ্ট্রকে অবৈধ সম্পদ কেড়ে নিতে হবে।
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বেসরকারি সংস্থা অক্সফার্ম কর্তৃক আয়োজিত ‘খাদ্য অধিকার বিষয়ে গণশুনানি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এসময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান, বাংলাদেশ আইন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফওজুল আজিম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গবেষক ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, কানাডার খাদ্য বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া সিএস লামবেক, মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্নেহাল সোনেজি প্রমুখ।
গণশুনানি অনুষ্ঠান দিনব্যাপী তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে ড. মিজানুর রহমান বলেন, সুশাসনের জন্য দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বিকল্প নেই। যখন দেখি যারা সুশাসনের কথা বলে অথচ দেশের সম্পদ লুটেপুটে সাবাড় করে তখন বড় কষ্ট পাই। এসব অবৈধ সম্পদের মালিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের সম্পদ কেড়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমছে কিন্তু ক্ষুধা কমেনি। দরিদ্র ব্যক্তিদের দেশের প্রভাবশালীরা সবসময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন এবং তিনি একজন খুব ভালো ব্যক্তি। তার আশপাশে যারা আছে তাদেরকেও ভালো হতে হবে। নইলে তিনি ভুল পথে পরিচালিত হবেন। তখন দেশের সর্বনাশ হবে। ভেজালমুক্ত খাবার সরবরাহ করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। যদি রাষ্ট্র এ দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রাষ্ট্রকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। দেশে সকলের রাজনৈতিক মত প্রকাশের অধিকার আছে।
খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এই সরকারের আমলে সার ও বীজের সংকট দেখা দেয়নি। বর্তমানে দেশে ৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বে খাদ্য সংকট নেই। কিন্তু, সুষম বন্টনের অভাবে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ আইন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফওজুল আজিম বলেন, দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী মানসম্মত খাদ্য থেকে বঞ্চিত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button