গোলাম আযমের শোক বইয়ে স্বাক্ষর করলেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের ইন্তিকালে শোক প্রকাশ করার জন্য গত রোববার বিকেলে একটি শোক বই খোলা হয়েছে। মগবাজারের কাজী অফিস লেনের বাসায় খোলা এ শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতেও ভিড় করছে মানুষ। কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, কুটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নারী-পুরুষ এসে শোক বইয়ে মন্তব্য ও স্বাক্ষর করেন।
গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অধ্যাপক গোলাম আযমের বাসায় শোক বাইয়ে মন্তব্য ও স্বাক্ষর করেছেন। এতে লাইন ধরে অপেক্ষা করে একের পর এক স্বাক্ষর করেন। গতকাল স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, কুয়েত দূতাবাসের পক্ষ থেকে দূতাবাসের কর্মকর্তা বদর আর রশিদী শোক বইয়ে আরবীতে মন্তব্য ও স্বাক্ষর করেন। ফিলিস্তিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে ইব্রাহিম নামক এক কর্মকর্তা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়াও মুসলিম লীগ সভাপতি নূরুল হক মজুমদার, লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জমিয়াতুল মোফাসসিরীনের সভাপতি মাওলানা একেএম আব্দুস সোবহানসহ আরো অনেকেই স্বাক্ষর করেন।
হবিগঞ্জ থেকে ইকবাল হোসাইন ও হাবিবুর রহমান খান নামে দুইজন শোক বইয়ে তাদের মন্তব্য ও স্বাক্ষর করার জন্য এসেছেন। এভাবে জানাযার মতো শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ শোক বই খোলা থাকবে।
সন্ধ্যায় অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এক ই মেইল বার্তায় জানিয়েছে, মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ইসলামী সংগঠন হামাসের অবিসংবাদিত নেতা খালেদ মিশাল শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
খালেদ মিশাল বলেছেন, ‘বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুতে পুরো গাজাবাসী গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।’ এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ান হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি বাসায় এসে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।