কাশ্মির সমস্যা নিরসনে লন্ডনে লাখো মানুষের সমাবেশ
ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের জনগণের কয়েক দশক ধরে চলা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায়ের সংগ্রামের সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য রোববার ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের রাস্তায় নেমে এসেছিলেন লাখ লাখ মানুষ।
লন্ডনভিত্তিক একটি গ্রুপ কাশ্মির ইস্যুকে সামনে তুলে আনতে এই সমাবেশের আয়োজন করে। প্ল্যাকার্ড ও পতাকা নিয়ে হাজার হাজার লোক যোগ দেন ট্রাফালগার স্কয়ারের এই সমাবেশে। পরে তারা ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় পুলিশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে রওনা হন। তা ছাড়া কাশ্মির ইস্যু সমাধানে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে ব্রিটিশ সরকার বরাবর একটি আবেদন জমা দেয়া হয়। হুররিয়াত নেতা সৈয়দ আলী গিলানি এক বিবৃতিতে মিলিয়ন মার্চকে একটি অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেন এবং বলেন, এ সমাবেশ বিশ্বসমাজকে এই বার্তা দিচ্ছে যে, কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে সন্ত্রাসবাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই। কাশ্মিরি জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে।
আজাদ কাশ্মিরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ওই সমাবেশের আয়োজন করেন। ব্রিটিশ এমপি লর্ড নাজির আহমেদ এতে সমর্থন জানান। ব্যারিস্টার সুলতান মাহমুদ বলেন, ভারতপন্থীরা সমাবেশটি বানচাল করতে চেয়েছিল। আমরা এখানে সমবেত হয়েছি কাশ্মিরি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ এবং কাশ্মিরের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য। তিনি আরো বলেন, কাশ্মির স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এ সমাবেশে উপস্থিত হন পাকিস্তান পিপলস পার্টির তরুণ চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বোন আসিফা জারদারি। কাশ্মিরি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ ও তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের সংগ্রামে নিঃশর্ত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য এতে যোগ দেন পিপিপি নেতা বিলাওয়াল। উৎফুল্ল জনতা তাকে মঞ্চে অভ্যর্থনা জানায়। অবশ্য কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি সমাবেশটি নিছক কাশ্মিরি জনগণের বলে সেখানে বিলাওয়ালের উপস্থিতির প্রতিবাদ জানায় এবং তার প্রতি বোতল নিক্ষেপ করে। ব্রিটিশ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।