সংলাপ ও নির্বাচনের তাগিদ দিলেন ব্রিটিশ মন্ত্রী
৫ জানুয়ারির বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে হলেও তা হতাশাজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী লিন ফেদারস্টোন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল সম্পূর্ণভাবেই হতাশাজনক। যেখানে বেশির ভাগ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এ সময় তিনি অতিদ্রুত সংলাপ ও একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেন।
মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থিত বৃটিশ হাইকমিশনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন ও ডিএফআইডি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সারাকোক।
বৃটিশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সামনের নির্বাচনগুলোতে যেন সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়, সেজন্য অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসতে হবে এবং সবদলের অংশগ্রহণে দ্রুত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। এসময় বাংলাদেশে অবাধ ও দায়বদ্ধ নির্বাচনের তাগিদ দেন মন্ত্রী।
লিন ফেদারস্টোন বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের দায়বদ্ধতা আছে দেশের মানুষের প্রতি। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ বছর পর পর যে নির্বাচন হয় এবং এতে যে সহিংসতা হয়- এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলকেই দায়িত্ব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা যুক্তরাজ্য দেখতে চায় না। লন্ডনে অনুষ্ঠিত গার্লস সামিটে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অঙ্গীকার করেছিলেন; বাংলাদেশে মেয়েদের বয়স নতুনভাবে নির্ধারণে যে প্রক্রিয়া চলছে- তা এ অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন সফররত মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতি মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটা শুধুই আলোচনা। তারপরও যদি মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ করা হয় তবে তা হবে প্রধানমন্ত্রী স্ববিরোধিতা।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ৩ দিনের সফরে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী লিন ফেদারস্টোন। সোমবার তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত গার্ল সামিটে অংশ নেন। আজ রাতে তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।