আগামী নির্বাচনেও প্রধান টার্গেট ইমিগ্রান্টস হ্রাস
আসন্ন ২০১৫ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে ইমিগ্রেশন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর বিতর্ক। গত নির্বাচনে বৃটেনের নেট ইমিগ্রান্ট ১শ হাজারের নিচে নামিয়ে আনা হবে- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও, সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান কনজারভেটিভ পার্টি। আর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনকেই দোষছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তাই বৃটেনের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করতে আরেকবার সুযোগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বৃটেনের অতিরিক্ত ইমিগ্রেশন কমিয়ে আনতে আরেকবার ক্ষমতায় আসারও সুযোগ চেয়েছেন তিনি।
কেন্টের রচেস্টারে এক নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ভোটারদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। এই আসনে কনজারভেটিভের এক এমপি ইউকিপে যোগ দেওয়ার পর আসনটি শূন্য হয় এবং আগামী মাসে এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে যেকোনভাবে বৃটেনের সাথে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে বলে ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, আগামী নির্বাচনে তার প্রধান টার্গেটই হলো ইমিগ্রেশন। যেকোন মূল্যে বৃটেনের ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করবেন তিনি। কিভাবে তা করবেন এরও একটা রূপরেখা দেন। এতে বলা হয়- নতুন ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকদের সরাসরি বৃটেনে আসতে না দেওয়া, ইউরোপীয়ান নাগরিকদের বৃটেনে প্রবেশে পয়েন্ট বেইজ্ড সিস্টেম চালু করা। যাতে শুধুমাত্র দক্ষ কর্মীরাই বৃটেনে প্রবেশের সুযোগ পায় এবং ইউরোপীয় নাগরিকের বেনেফিট সুবিধা সংকুচিত করা।
তবে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ডেভিড ক্যামেরনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সব দেশের সমর্থন প্রয়োজন হবে। যা অনেকটা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশের দাবী, লোকজন, অর্থ ও মালামালের ফ্রি মুভমেন্ট হল ইইউ‘র মূল ভিত্তি। বৃটেন এই শর্তই যদি ভঙ্গ করে তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো একথা বললেও, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাকে সমর্থন দিচ্ছেন টোরি এমপিরা। অন্যদিকে রোববার এন্ড্রু মারের শোতে বর্তমান ইইউ প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়ের বারোসে বলেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের শর্ত ভঙ্গ করলে, বৃটেনকে শেষ পর্যন্ত এই কমিশন থেকে বের হয়ে যেতে হবে। আর ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বৃটেন। কারণ আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বৃটেনের প্রভাব তখন শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। এছাড়া ইইউ মাইগ্র্যান্টের ক্ষেত্রে বৃটিশ সরকার কোনো ধরনের ক্যাপ করলেও আইনসম্মত নাও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট।