ব্রিটেনে ৫০ হাজার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিখোঁজ !
ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারীদের নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন এমন ৫০ হাজার আবেদনকারী হারিয়ে গেছেন। এর আর্থিক ক্ষতি ধরা হয়েছে এক বিলিয়ন পাউন্ড। তবে আরও ২৯ হাজারের আবেদন বিবেচনাধীন। আর ১ লাখ ৭৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী বর্তমানে ব্রিটেন থেকে অপসারণের অপেক্ষায় রয়েছেন। এই পৌনে দুই লাখের বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাসের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। তবে কর্মকর্তারা জানেন না তাদের সবাই বা কতজন অনুমতি ছাড়া এখন ব্রিটেনে রয়ে গেছেন। ওই ৫০ হাজার আবেদনকারীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন কে কোথায় আছেন সে বিষয়ে কোন তথ্যই আর ব্রিটিশ সরকারের কাছে নেই।
ব্রিটিশ হোম অফিস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ‘ক্যাপিটা’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছিল। এখন ওই ‘ক্যাপিটা’ পাবলিক অ্যাকান্টস কমিটিকে বলেছে, ওই ৫০ হাজার লোককে ব্রিটেনে থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু এখন তারা কোথায় আছেন সে বিষয়ে কোন তথ্য ডাটা ব্যাংকে নেই।
অভিবাসন ও নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জেমস ব্রোকেনশায়ার বলেন, আমাদের কোয়ালিশন সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি অকার্যকর ব্যবস্থা পেয়েছে।
কিন্তু স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ছায়া মন্ত্রী জাভেত্তি কুপার বলেন, আমরা যেসব অনিয়ম উদ্ঘাটন করেছি সে জন্য অতীতের প্রশাসনকে দায়ী করা যাবে না।
তথ্যপ্রযুক্তিগত দু’টি প্রকল্পের ব্যর্থতাকে দায়ী করে রিপোর্ট দিয়েছে হাউস অব কমন্সের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। অভিবাসন বিষয়ক এ প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিটেনে ঝড় উঠেছে। বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ বিপাকে পড়েছে।
গতকাল গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এ রিপোর্টে বলা হয়, অন্তত ৭ বছর ধরে ১১ হাজার আবেদনকারীর ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি হোম অফিস। তাদের আবেদন নাকচ করা হবে কি হবে না সেই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেনি এই ৭০০০ আবেদনকারীর ক্ষেত্রে। এ ছাড়া আরও ২৯ হাজারের আবেদন ২০০৭ সাল থেকে পেন্ডিং রয়েছে।
গার্ডিয়ান বলেছে, ২০১২ সালে ওল্ডার লাইভ কেসেস ইউনিট স্থাপন করা হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল ৪ লাখ অ্যাসাইলাম এবং মাইগ্রেশন ফাইল নিষ্পত্তি করতে। এগুলোর মধ্যে ২০০৭ সালের আগের কেসও রয়েছে। তবে নতুন প্রতিবেদন বলেছে, বর্তমানে ২৯ হাজার আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।