ব্যয়বহুল নতুন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে উঠেছেন এরদোগান

Erduganতুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান নতুন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে উঠেছেন। গত বুধবার তুর্কি প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশালাকারের এই প্রাসাদের উদ্বোধন করা হয়। ১৯২৩ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষের ওপর তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম কোনো তুর্কি প্রেসিডেন্ট নতুন প্রাসাদে উঠলেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কামাল আতাতুর্ক থেকে শুরু করে এরদোগান পর্যন্ত ১২ জন প্রেসিডেন্ট আগের প্রাসাদেই বাস করেছেন। আঙ্কারার বেস্টেপ (পঞ্চ পবর্ত) এলাকায় নির্মিত এই প্রাসাদটি হোয়াইট প্যালেস বা শ্বেতপ্রাসাদ নামে পরিচিতি পেয়েছে। তবে এর সরকারি নাম একে সারে যা এরদোগানের দল একে পার্টির নামের কাছাকাছি। ২ লাখ বর্গমিটার  বা ২১ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে নির্মিত এই প্রাসাদে এক হাজার কক্ষ রয়েছে। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩৫ কোটি ডলার বা প্রায় ২,৭৩০ কোটি টাকা।
মধ্যযুগের সেলজুক  রাজবংশ এবং আধুনিক সময়ের সমন্বয়ে এর স্থাপত্য নির্মিত হয়েছে। এর আগে আতাতুর্ক থেকে এরদোগান পর্যন্ত ১২ জন প্রেসিডেন্ট বাস করেছেন আঙ্কারার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কানকায়া প্রাসাদে। কানকায়াকে তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। ইসলামপন্থী এরদোগান এই ঐতিহাসিক প্রাসাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। নতুন তুরস্কের প্রতীক হিসেবে একে গড়ে তুলেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এরদোগান বলেছেন, নতুন তুরস্ক আর পুরনো তুরস্ক এক নয়। নতুন তুরস্কের উচিত নতুন কিছু করে দেখানো। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে বিশেষ মনযোগ দিয়েছি। তবে বিরোধী দল এই প্রাসাদের সমালোচনা করে বলেছে, এই অর্থে তিনবার মঙ্গলগ্রহে যাওয়া যেত। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, এরদোগান দেশকে ইসলামিকরণ করছেন। যে জায়গায় প্রাসাদটি তৈরি হয়েছে সেটি ছিল আতাতুর্কের বনাঞ্চল। পরে সেটি তিনি রাষ্ট্রকে দান করে দেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button