রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানের আহবান জাতিসংঘের
মিয়ানমারের বিরোধী দল, সামরিক এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিগুলোর সঙ্গে এক নজিরবিহীন গোলটেবিল বৈঠক করলেন দেশটির প্রেসিডেণ্ট। আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার মার্কিন আহবানের পর বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এর আগে ২০১৫ সালের শেষদিকে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয় সরকার । এদিকে জাতিসংঘের এক খসড়া প্রস্তাবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমান মর্যাদার ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্বের আহবান জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর একটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আহবান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বৈঠককে সামনে রেখে দেশটির প্রেসিডেণ্ট থেইন সেইন ও বিরোধী নেতা অং সান সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেণ্ট বারাক ওবামা। এসময় তিনি থেইন সেইনকে একটি সার্বজনীন নির্বাচন উপহার দেয়ার কথা বলেন। এদিকে রাজধানী নাইপেদায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা, জাতীয় ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বৈঠকে ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্টের স্পিকার, সেনাবাহিনী প্রধান ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির প্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে তাদের পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব প্রদানের আহবান জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করেছে জাতিসংঘ। একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মিয়ানমার সফরে আসার দুই সপ্তাহ আগেই এই ধরনের একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হলো। মূলত সম্মেলনকে সামনে রেখে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টিই এর মূল লক্ষ্য। উল্লেখ্য মিয়ানমারে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমের বসবাস যাদের মূলত কোন নাগরিক অধিকার নেই এবং দীর্ঘদিন বসবাস করলেও নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত। এমনকি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হামলায় শত শত মুসলিম রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে এবং ১ লাখ ৪০ হাজার লোক শরণার্থী শিবিরে বসবাস করে। এছাড়া হামলার ভয়ে হাজার হাজার লোক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।