ব্রিটেনের এমপি পদে লড়বেন বাংলাদেশি ৬ ব্রিটিশ

6 Bengali British২০১৫ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন ক্ষমতাসীন টোরি পার্টি নানা পরিকল্পনা আর পলিসির ঝুলি নিয়ে জনগণের দুয়ারে হানা দিচ্ছে, ঠিক একইভাবে বিরোধী লেবার পার্টিও নিজেদের নানা পরিকল্পনার কথা জনগণকে জানান দিচ্ছেন। বসে নেই ক্ষমতার আরো এক অংশীদার লিবডেমও। এই তিন দল এখন মরিয়া আগামীর নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসীনের জন্য।
সেজন্য বিশ্বখ্যাত নির্বাচনী মাস্টার মাইন্ড এক্সেল রড, জিম ম্যাসিনা, লিনটন ক্রসবীর মতো এডভাইজরদের মোটা অংকের বিনিময়ে হায়ার করে ব্রিটেনে নিয়ে এসেছেন তাঁরা। ব্রিটেন হলো বহু বর্ণের মিশ্রণে এক সমাজ, যেখানে প্রতিটি দেশের নানান বর্ণ আর মিশ্রণের মানুষ একত্রিত হয়ে বাস করলেও রাজনৈতিক মতাদর্শে ভিন্নমত ও পথের সমর্থক।
অন্যান্য সকল কমিউনিটির মতোই বাংলাদেশি কমিউনিটির অবস্থান অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এখন অনেক শক্ত এক ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। এখনকার বাঙালিদের এক বৃহৎ অংশই ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থা, সংস্কৃতি, সমাজনীতির সাথে মিলে মিশে ব্রিটিশ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সোসাইটিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এর প্রমাণ পাওয়া যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাঙালিদের পদচারণায় ব্রিটিশ মূলধারার রাজনীতিতে অভিষিক্ত হওয়া। যখন এক ঝলক আলোকবর্তিকা দেখা দেয়, তখনি ব্রিটিশ সোসাইটির সবচাইতে প্রভাবশালী দ্য টাইমস আর লন্ডন ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড তাদের সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করে বসে, অদূর ভবিষ্যতে ব্রিটেন হয়তো একজন কালোদের মধ্য হতে প্রধানমন্ত্রী পেয়েও যেতে পারে।
স্মরণ রাখা দরকার ২০১৫ সালে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচন। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী তোড়জোড়। প্রধান দুই পার্টি লেবার ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ এবং মধ্যপন্থী লিবডেম তাদের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্টের প্রার্থী মনোনয়ন পেতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে তৃনমূলের পার্টির সক্রিয় কর্মীর, ক্যাম্পেইনার, লিফলেট বিতরণ, ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন, টেলিফোন ক্যাম্পেইন ইত্যাদি নানান কর্মসূচীর সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ থাকতে হয়। একইভাবে পার্টির ইলেক্টোরাল ভোটারদের ভোট ছাড়াও পার্টির সিলেকশন বোর্ডের কাছে নানান পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।
একজন প্রার্থীর বহুমুখী প্রতিভার ও সক্ষমতা যথাযথভাবে যাচাই এবং ব্রিটেনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পলিটিক্স, ফরেন পলিসি, ইত্যাদি নিয়ে জ্ঞানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমেই তিনি মনোনয়নের চূড়ান্ত টিকেট লাভ করেন। এখানে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য টাকা, পেশী শক্তি, কোন ধরনের সুপারিশ অথবা পার্টি প্রধানের কাছের বা আস্থাভাজনের কোন দাম নেই।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আমাদের রোশনারা আলী অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন এবং বেশ সুনামের সাথেই তিনি কাজ করে চলেছেন। রোশনারার পথ ধরেই এবার ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে টিউলিপ সিদ্দিকী, ড. রূপা হক, মিনা রহমান, ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়া, ফয়সাল চৌধুরী এমবিই চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন লাভ করেছেন।
৬ প্রার্থী সম্পর্কে মূলধারার দলগুলোর নিজস্ব তথ্য বিবরণীতে সংক্ষেপে কি বলা আছে, হুবহু সরকারি রেকর্ড থেকে পাঠকদের সুবিধার্থে তা তুলে ধরা হলো।
রোশনারা আলী
মাত্র কিছুদিন আগেই শ্যাডো মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে যিনি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিলেন, তিনি হলেন বর্তমান এমপি- আগামী ২০১৫ সালের নির্বাচনেও লেবার দলের প্রতিদ্বন্দ্বী রোশনারা আলী। রোশনারা একদিকে যেমন রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে অনন্য এক সমাজকর্মী হিসেবেও নিজেকে সর্বদা নিবেদিত রেখেছেন। লন্ডনের ইস্ট এন্ডে বড় হওয়া রোশনারা স্কুল জীবন কেটেছে টাওয়ার হামলেটস এর ম্যালবেরী গার্লস হাই স্কুলে, পড়েছেন বিশ্বখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ডে। সেখানে তিনি দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়েছেন। পুঁথিগত বিদ্যা ও বাস্তবতার সমন্বয় করে তিনি বারা বেথনাল গ্রিন এবং বো এলাকার জনগণের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে, দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে জড়িয়ে পড়েন লেবার পার্টিতে। সেখানে নিজের যোগ্যতা আর কর্ম অভিজ্ঞতার ফলস্বরূপ লেবার পার্টির টিকেট নিয়ে ২০১০ সালে সাধারণ নির্বাচনে বেথনাল গ্রিন-বো এলাকা থেকে বিপুল ভোটে প্রথম বাঙ্গালী এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে নিজের আসন পাকাপোক্ত করে নেন। সাংসদ হবার আগে, ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রোশনারা কৃতিত্বের সাথে কাজ করেন হোম অফিসে একজন টিম লিডার হিসেবে। সেখান থেকে তিনি যোগ দেন দ্য ইয়ং ফাউন্ডেশনে, এখানে তিনি একজন এসোসিয়েট ডাইরেক্টর হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
তারও আগে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ইনস্টিটিউট ফর দ্য পাবলিক পলিসি রিসার্চ এ একজন রিসার্চ ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য এটা অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা- যে কোন একজন গ্র্যাজুয়েট/পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এর জন্য পাবলিক পলিসি রিসার্চ এ রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করা বিরাট এক সৌভাগ্যের। যেখানে নিজের কর্মদক্ষতা ছাড়াও অনেক জ্ঞানী-গুনীজনের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ছাড়াও রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় যেমন অবগত হওয়া যায়, তেমনি অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই ছাড়াও এগুলো বিশ্লেষণ এবং ইমপ্লিমেন্টেশনের প্রায়োগীতা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। নীতি-নির্ধারণী বিষয়, আইন-কানুন প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, জনপ্রশাসনে জনকল্যাণের লক্ষ্যে কর্ম-পরিকল্পনা মূলত হাতে খড়ি এখান থেকেই তিনি শুরু করেন। তৎকালীন লেবার দলীয় নীতি-নির্ধারণী, কর্মী-সমর্থক আর নির্বাচকম-লী রোশনারার কর্মদক্ষতা আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় অভিভূত হয়ে তাকে বেথনাল-গ্রিন-বো এলাকায় পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য যথার্থই উপযুক্ত মনে করেছিলেন, ফলশ্রুতিতে আজকের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এর তিনি প্রথম নির্বাচিত ব্রিটিশ বাংলাদেশি সদস্য।
মিনা রহমান
তিনি খুব ছোটবেলায় প্রায় ২১ দিনের শিশু অবস্থায় বাবা মায়ের সাথে ব্রিটেনে আসেন। আদি জন্মস্থান সুনামগঞ্জের ছাতকের এক প্রত্যন্তÍ গ্রামে। ধীরে ধীরে ব্রিটেনের স্কুল জীবন শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেন- প্রায় সংগ্রামী এক নারীর মতোই। একদিকে সংসার জীবন অন্যদিকে ছেলে মেয়েদের মানুষ করা, তার উপর নিজের লেখা পড়ার খরচ যোগানোর জন্য এনএইচএসের চাকরি- এমন তেজোদীপ্ত স্বাবলম্বী এক বিদূষী বাঙালি রমণী। এভাবেই পড়া লেখার পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন কনজারভেটিভের রাজনীতির সাথে। একমসময় ছিলেন কনজারভেটিভ দলের মুখপাত্রের মতো গুরুদায়িত্ব পালনের গৌরবের অধিকারী। বর্তমানে পূর্ব লন্ডনের একটি হাউজিং কোম্পানির ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন। লন্ডনের বার্কিং আসন থেকে আগামী ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি কনজারভেটিভ দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনি ১ কন্যা ও ৩ পুত্রের জননী। তার স্বামী সিলেটের বাসদ রাজনীতির অন্যতম পুরোধা গয়াছুর রহমান গয়াছ।
টিউলিপ সিদ্দিকী
লেবার পার্টির ৯শ সদস্যদের ভোটাভুটিতে ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্ট্যাড এন্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাতনী, শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী মনোনয়ন লাভ করেন।
২০১০ সালে টিউলিপ প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বর্তমানে টিউলিপ সিদ্দিক ক্যামডেন বারার রিজেন্টস পার্ক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ক্যামডেন কাউন্সিলের কমিউনিটিজ এন্ড কালচারাল ক্যাবিনেট মেম্বার। উচ্চশিক্ষিতা টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের মেরটন কাউন্সিলের মিটচাম এলাকায় ১৯৮২ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ, ব্রুনাই, ভারত, সিঙ্গাপুর, স্পেন এ বাল্যকাল কাটিয়েছেন। পশ্চিম লন্ডন থেকে ১৯৮৮ সালে তিনি উত্তর লন্ডনে চলে আসেন এবং এ-লেভেল সম্পন্ন করেন।
তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন থেকে ইংরেজি সাহিত্যের উপর আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী এবং কিংস কলেজ অব লন্ডন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
২০১১ সালে তিনি পলিটিক্স, পলিসি এন্ড গভর্নমেন্টের উপর দ্বিতীয়বারের মতো মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ফিলিপ গ্লাউড এসোসিয়েশটস, সেভ দ্যা চিলড্রেন, বেথনাল গ্রিন এন্ড বো আসনের সাবেক লেবার এমপি ওনা কিং, টুটিং এলাকার লেবার এমপি ও সাবেক মন্ত্রী সাদেক খান, লেইটন ওয়ানস্টেড এলাকার সাবেক লেবার এমপি হেরী কোহেনের সঙ্গে কাজ করেছেন।
ড. রূপা হক
পুরো নাম রূপা আশা হক, পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসিওলজির শিক্ষক। শিক্ষকতা করছেন লন্ডনের কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে একজন সিনিয়র লেকচারার হিসেবে। এর আগে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। পিএইচডি করেছেন কালচারাল স্টাডিজের উপর। রূপা নিয়মিত গার্ডিয়ান, দ্য স্টেটসম্যান, ট্রাইবুনসহ নানা পত্রিকা ও জার্নালে কলাম লিখে থাকেন। তার বিখ্যাত বই বিয়ন্ড কালচার ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়, যা ২০০৭ সালে ফিলিপস আব্রাহাম মেমোরিয়াল প্রাইজের জন্য শর্ট লিষ্টেড হয়। রূপা হক ২০০৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভের সেইফ সিট বাকিংহাম শায়ারের চিজহাম-আমেরশাম সিটে শেরিল গিলানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ২০১০ সালে তিনি লন্ডন বারা অব ইলিং এর ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আগামী ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইলিং সেন্ট্রাল ও একটন সংসদীয় আসন থেকে লেবার দলের পক্ষে পার্লামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পার্টির চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভ করেছেন।
রূপা হক এর আরো দুই বোন রয়েছে। সকলেই কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তার বড় বোন নোরা হক একজন আর্কিটেক্ট। ছোট বোন কনি হক বিখ্যাত বিবিসি প্রোগ্রাম ব্লু পিটারের একজন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা।
ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়া
লেবার দল গত ৯ মার্চের বার্ষিক সভায় সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়াকে হ্যাটফিল্ড আসন থেকে আগামী ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনিত করে। আনোয়ার বাবুল মিয়া পেশায় একজন আইনজীবী। গ্রেটার লন্ডনের গ্রেট জেমস স্ট্রিট চেম্বার্সের একজন নিয়মিত আইনজীবী, ইমিগ্রেশন ও মানবাধিকার আইনের উপর একজন বিশেষজ্ঞ।
বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের একজন ডিরেক্টর। এছাড়াও ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্র্যাক্টিসিং ব্যারিস্টার এসোসিয়েশনেরও প্রেসিডেন্ট তিনি।
২০১১ সালে ব্রিটিশ বাংলাদেশি হুদজ হোদর সেরা বাংলাদেশিদের তালিকায় ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল নিজের অবস্থান করে নিয়েছিলেন।
ফয়সল চৌধুরী এমবিই
এডিনবারার বাংলাদেশী উজ্জ্বল এক তরুণ ব্যবসায়ী ফয়সল চৌধুরী বর্তমানে এডিনবারা এবং লোথিয়ানা রেইস ইক্যুয়ালিটি কাউন্সিলের চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরপর তিনবার ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই কাউন্সিলের চেয়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ফয়সল চৌধুরী ২০০৪ সালে তার সামাজিক অর্থনৈতিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কর্তৃক এমবিই খেতাব পান। এছাড়াও ব্রিটেনের প্রথম বাংলাদেশি কমিউনিটি চ্যানেল ‘চ্যানেল এস’ কর্তৃক কমিউনিটি এওয়ার্ড পান ২০০৬ সালে। তিনি বাংলাদেশী রেস্টুরেটার ইন স্কটল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সমিতি এডিনবারার চেয়ারম্যান, কাউন্সিল অব বাংলাদেশিজ ইন স্কটল্যান্ড এর সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাজ্য নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সাইক্লোন আপিল এবং ২০০৮ সাইক্লোন সিডর আপিলেও তার ভূমিকা ছিল। ফয়সল চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত স্কটল্যান্ডে এডিনবারা কাউন্সিল কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয় এবং ঐদিন স্কটিশ পার্লামেন্টে এ নিয়ে একটি মোশন উত্থাপিত হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button