গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরাইল
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গাজায় পরিবারের লোকজনে ভরা বাড়িগুলোতে হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরাইল। এতে ফিলিস্তিনের শত শত বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত সংস্থার এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।
‘ফ্যামিলিজ আনডার রাবেল : ইসরাইলি অ্যাটাকস অন ইনহ্যাবিটেড হোমস’ শীর্ষক রিপোর্টে আবাসিক বাড়িতে সতর্কবার্তা ছাড়াই ইসরাইলি হামলার আটটি নজির উল্লেখ করা হয়। এতে ৬২ শিশুসহ ১০০ বেসামরিক লোক নিহত হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, গাজায় হামাসের সাথে ৫০ দিনের যুদ্ধে উপকূলীয় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেসামরিক লোকজনের বসত বাড়িতে হামলার সময় ‘নির্মম উদাসীনতা’ প্রদর্শন করেছে ইসরাইলি বাহিনী, যা একটি যুদ্ধাপরাধ।
ওই যুদ্ধে দুই হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোক। ইসরাইলে নিহত হয়েছে ৭২ জন যাদের ছয়জন ছাড়া সবাই সৈন্য। রিপোর্টে বলা হয়, বেসামরিক নাগরিকদের বাসগৃহ মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে ইসরাইল প্রায়ই বিমান থেকে ব্যাপক হারে বোমা বর্ষণ করে, যার ফলে কখনো কখনো পরিবারের সবাই হত্যার শিকার হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, যদিও মাঝে মধ্যে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ছিল মাত্রাতিরিক্ত।
মনে হয় গাজার আবাসিক ভবনগুলো থেকে যখন কোনো সম্ভাব্য সামরিক টার্গেট চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হতো তখন ইসরাইল সরাসরি ও ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক ল্যবস্তুর ওপর হামলা চালায় যা নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধাপরাধের শামিল।’
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক ফিলিপ লুথার বলেন, ‘হামলার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ধরনের সতর্কবার্তা দেয়া হয়নি এবং তাদের সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগও দেয়া হয়নি।’ এ ধরনের হামলা কেন হলো তার ব্যাখ্যা দিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অনুরোধ জানালেও ইসরাইল এখনো কোনো জবাব দেয়নি বলে উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। অ্যামনেস্টি জবাব চায় বলে উল্লেখ করে লুথার বলেন, বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কম রাখার আইনি দায়বদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কেন বেসামরিক লোকজনে ভরা বাড়িগুলোকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলো, তা ব্যাখ্যার দায়িত্ব ইসরাইলের।