প্রথম নারী হিসাবে বিসিএ এওয়ার্ড পেলেন রাত্রি চৌধুরী হাসিনা

Ratri Chyবাংলাদেশ ক্যাটারার এসোসিয়েশন ইউকের ২০১৪ সালের ‘বিসিএ ক্যাটারার অফ দ্যা ইয়ার’ পুরষ্কার পেয়েছেন রাত্রি চৌধুরী হাসিনা। তাকে ইয়র্কশায়ার ও হাম্বারসাইড এলাকার অন্যতম কারি উদ্যোক্তা হিসাবে এ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। সম্পূর্ণ কাস্টমারদের ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন তিনি। রাত্রি চৌধুরীই প্রথম বাংলাদেশি নারী যিনি এ পুরস্কারে ভূষিত হলেন। যুক্তরাজ্যের হাল শহরের ‘বেঙ্গল লাউঞ্জ হাল’ এর সত্ত্বাধিকারী হিসবে এ সুনাম অর্জন করেন তিনি।
রাত্রি চৌধুরী হাসিনা নর্থ লিঙ্কনশায়ার শহরে ‘বেঙ্গল ডাইনেস্টি’ এবং হাল শহরে ‘বেঙ্গল প্রাইড’ নামে দুটি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের মালিক। দুটি রেস্টুরেন্টই কয়েকবারের ‘বেস্ট ইন্ডিয়ান’ এওয়ার্ড বিজয়ী। এছাড়া তিনি ‘ভি এলটরো’ এবং ভি এলটরো ডনকাস্টার’ নামের দুটি স্পানিশ রেস্টুরেন্টের মালিক। এরমধ্যে ‘ভি এলটরো’ ২০১৩ সালে সমস্ত যুক্তরাজ্যের স্পানিশ রেস্টুরেন্টের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
রাত্রি চৌধুরী হাসিনার হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায়। তিনি তার অভিব্যক্তি প্রকাশকালে বলেন, প্রথমত আমি একজন নারী এবং বাংলাদেশি। যে সময় আমি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় প্রবেশ করি সে সময় আমাদের কমিউনিটিতে নারীদের জন্য এটা খুবই নতুন অাইডিয়া। তাছাড়া বস হিসাবে নারীদের এ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা পাওয়া এখনো কঠিন। তাই আমি ভয়ে ভয়ে কাজটা শুরু করি। এটার প্রতিফল আজ আমি পাচ্ছি।
স্পানিশ রেস্টুরেন্ট পরিচালনার ব্যাপারে তিনি জানান, আমারা স্পেনে থাকা অবস্থায় ইউকেতে স্পানিশ রেস্টুরেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেই। কোয়ালিটি ও সেবা ঠিক থাকলে যে কেউ সফল হতে পারে। রাত্রি চৌধুরী নারীদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এওয়ার্ড প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ইউকে লেবার পার্টির প্রধান এড মিলিব্যান্ড, লর্ড হাউজের সদস্য ব্যারোনেস পলা মঞ্জিলা উদ্দিন, রোশনারা আলী এমপি, বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার, সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মুনিম, ডিনার এবং এওয়ার্ড কমিটির প্রধান মোস্তফা কামাল ইয়াকুব ছাড়াও খ্যাতনামা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের কারিশিল্পে প্রতিনিধিত্বের অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৬০ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ)। প্রায় ৫৪ বছরধরে কারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে বিসিএ। ২০০৬ সাল থেকে সংগঠনটি শুরু করে বিসিএ এওয়াডর্স প্রদান ও গালা ডিনার। বিসিএ’র বার্ষিক এই অনুষ্ঠান এখন হয়ে উঠেছে বৃটেনের কারি ক্যালেন্ডারের অন্যতম বড়ো আয়োজন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button