কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিলের আহ্বান হাউজ অব লর্ডস’র সদস্যের
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মানবাধিকার সংক্রান্ত কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডস এর সদস্য লর্ড এভিবুরী জানিয়েছেন, “আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল অতি সম্প্রতি জামায়াতের আমিরসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। অন্যদিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে একই ট্রাইবুনাল থেকে পূর্বে দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে।”
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। তবে বিবৃতিটি বিভিন্ন পত্রিকার মেইলে পাঠায় জামায়াত।
তিনি বলেন, “কামারুজ্জামান একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক এবং ইতিপূর্বে এফসিও কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে তিনি বেশ কয়েকবার যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছেন।”
এভিবুরী বলেন, “বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম জানিয়েছেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। তবে আমরা মনে করি, যেকোনো চূড়ান্ত বাস্তবায়নের আগে নিচের আইনি পদক্ষেপগুলো নেয়া জরুরি-
১. সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে জানাতে হবে যে কি কি কারণে তারা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেয়া ট্রাইবুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখলেন।
২. পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর তা অভিযুক্তকে দিতে হবে এবং সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এরপর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
৩. তারপর পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে অভিযুক্তকে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগও দিতে হবে।
ইতিমধ্যেই কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সাধারণত এখানেই যাবতীয় ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়। তাই এই স্থানান্তর থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে এই মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে চায়।
আমি সংশ্লিষ্ট আইনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে কামারুজ্জামানকে সব ধরনের আইনি অধিকার প্রাপ্তির সুযোগ দেয়া হয়। একই সঙ্গে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হ্রাস (রদ) করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।