ইসলামী ব্যাংকের এমডিসহ ২৬ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
আনন্দ শিপইয়ার্ডের প্রায় ১৩শ’ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) ব্যবস্থপানা পরিচালকসহ ২৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী এ নোটিশ করেছেন। নোটিশে তাদেরকে আগামী ১২, ১৩ ও ১৬ নভেম্বর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কারওয়ান বাজার শাখার নয়জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরা হলেন ব্যাংকের সাবেক এসভিপি (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) মো. নুরুল ইসলাম, ভিপি কাজী মঈনুদ্দীন খাদেম, মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, এভিপি মো. মুসলেহ উদ্দিন, ভিপি (গুলশান সার্কেল-১) মো. আলিমুর রহমান, এভিপি মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. মনির হোসেন, অফিসার এ কে এম বোরহান উদ্দিন ও ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল বাশার।
এছাড়া ১৩ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়েরে এমডিসহ ১৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরা হলেন— ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সাবেক ইপি মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত অফিসার এ টি এম হারুন অর রশিদ চৌধুরী, ডিএমডি মো. শামসুল হক, সাবেক ইভিপি মো. সেতাউর রহমান, ডিএমডি মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক ইভিপি সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ, ইভিপি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, এসভিপি ইঞ্জিনিয়ার মঈজ উদ্দিন, ভিপি মো. হাসানাইন আবিদ, সাবেক এভিপি মো. দেলোয়ার হোসেন, এভিপি মাহমুদ হোসেন খান ও সাবেক এসও ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম।
অপর দিকে ১৬ নভেম্বর আরও চারজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরা হলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কারওয়ান বাজার শাখার হেড অব ফরেন এক্সচেঞ্জ মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ভিপি মো. আবু সুফিয়ান, সাবেক এভিপি মো. মনির হোসেন ও এসপিও আহমেদ আলী।
দুদক সূত্র জানায়, জাহাজ রফতানির নামে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আনন্দ শিপইয়ার্ড দেশের ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। জাহাজ নির্মাণের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও পর্যাপ্ত জামানত ছাড়া এ সব ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে এ সব জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসে।