সৌদি আরবে প্রবাসীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক

Saudiসৌদি আরবে অবস্থানরত ১৫ বছরের বেশি বয়স এমন সব অভিবাসীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে সব অভিবাসী তা করাবেন না তারা পাসপোর্ট বিষয়ক কোন সেবাই পাবেন না। ফিঙ্গারপ্রিন্ট না থাকলে কাজ পেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। জেনারেল ডাইরেক্টরেট অব পাসপোর্টস এ বিষয়টি অবশ্যই পালনীয় বলে ঘোষণা করেছে। এ নির্দেশ নারী-পুরুষ সব অভিবাসীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, সৌদি আরবে অবস্থান করছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশী। কর্তৃপক্ষের ঘোষণার অধীনে তারাও পড়েন। ডাইরেক্টরেটের মুখপাত্র আহমেদ আল লাহিদান এ কথা বলেছেন দ্য সৌদি প্রেস এজেন্সিকে। তিনি বলেছেন- বহির্গমন, ভিসা রি-এন্ট্রি, পেশা পরিবর্তন ও পাসপোর্টে তথ্য পরিবর্তন করার সময় শুরু হবে ২৩শে নভেম্বর থেকে। এ জন্য সব অভিবাসী নারীকে অবশ্যই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তার তথ্য এই কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধিত করাতে হবে। আহমেদ আল লাহিদান বলেন, ২১শে জানুয়ারি থেকে আকামা (আবাসিক অনুমোদন) নবায়নের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট। ফলে এই তারিখের পর কেউ পাসপোর্ট সংক্রান্ত কোন সেবা নিতে গেলে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট করানো আছে কিনা তা যাচাই বাছাই করা হবে। যার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই তিনি পাসপোর্ট বিষয়ক কোন সেবা পাবেন না। কোথায় কোথায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে সে বিষয়েও ডাইরেক্টরেট জানিয়ে দিয়েছে। তারা বলেছে, তাদের যে কোন শাখা অফিস থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করানো যাবে। একই ভাবে সৌদি আরবে যেসব বিশেষায়িত সেন্টার আছে সেখানেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট করানো যাবে। কেউ যদি বাড়তি তথ্য জানতে চান তিনি ডাইরেক্টরেটের ওয়েবসাইটে (িি.িমফঢ়.মড়া.ংধ) ঢুঁ মারতে পারেন। এবার নারী-পুরুষ সবার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক করা হলেও এর আগে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল পুরুষদের ক্ষেত্রে। তবে অভিবাসী নারীদের বেলায় বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ৩১শে মার্চ থেকে কাজের অনুমতি পেতে তা প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হিসেবে দেখা হয়। আহমেদ আল লাহিদান বলেন, জেনারেল ডাইরেক্টরেট অব পাসপোর্ট অভিবাসী সব নারী ও পুরুষের বায়োমেট্রিক তথ্য রেকর্ড করতে চায় গুরুত্বের সঙ্গে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button