ইরাক ও সিরিয়ায় ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ গৃহহীন
যুদ্ধের কারণে ইরাক ও সিরিয়ার এক কোটি ৩৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের অনেকেই শীতের শুরুতেও খাদ্য ও আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছেন। মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
সংস্থার মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক আমিন আওয়াদ বলেছেন, উদ্বাস্তুদের চাহিদার বিষয়ে বিশ্বসম্প্রদায় ক্রমেই অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘দুই মাসে ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে অর্থাৎ প্রতিরাতে পাঁচ লাখ করে। এখন আমরা যাই বলি না কেন বিশ্বে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।’ বাস্তুচ্যুত এই এক কোটি ৩৬ লাখ মানুষের মধ্যে সিরিয়ার মানুষের সংখ্যা ৭২ লাখ। এর আগে অনেক দিন ধরে জাতিসঙ্ঘ সিরিয়ায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৬৫ লাখ বলে জানিয়ে আসছিল। সিরিয়ার এসব শরণার্থীর মধ্যে ৩৩ লাখ বিদেশে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
আগে থেকেই ইরাকে ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত ছিলেন। নতুন করে ইসলামিক স্টেটের হামলা ও উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাতে চলতি বছর আরো ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইরাকি উদ্বাস্তুদের মধ্যে নিরাপত্তার খোঁজে এক লাখ ৯০ হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেছেন।
সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের একটি বিশাল অংশ প্রতিবেশী লেবানন, জর্দান, ইরাক ও তুরস্কে পাড়ি জমিয়েছেন। এই বাস্তুচ্যুত সিরীয় পরিবারগুলোর জন্য দেশগুলো যে ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা করেছে তা ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়াদ। তিনি বলেন, ‘এই চাপ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য বিশ্বের অন্য দেশগুলো, বিশেষ করে ইউরোপীয় এবং অপরাপর দেশগুলোর উচিত তাদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়া।’
এ দিকে জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মুখপাত্র এলিজাবেথ বাইর্স জানিয়েছেন, তারা ৪২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের রেশন ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছেন এবং তহবিলের অভাবে আগামী মাসে শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহে ছেদ পড়তে পারে।