ক্ষুদ্রতম পেট্রোল ইঞ্জিন!
পেট্রোল ইঞ্জিন-নামটি শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে ঢাউস আকৃতির একটি গাড়ির ইঞ্জিন যাতে ব্যবহার করতে হয় লিটার কে লিটার পেট্রোল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে বসেছেন এমন একটি পেট্রোল ইঞ্জিন যা আপনার হাতের নখের চাইতেও ছোট। এক সেন্টিমিটারের চেয়েও ছোট এই ছোট্ট ইঞ্জিনটি একটা ঘড়ির ভেতরে বসানোর মত ছোট। ছোট হলে কি হবে, এর কাজ করার ক্ষমতা অসাধারণ। অল্প একটু লাইটার ফুয়েল দিয়ে এই মিনি-মোটরটি চলতে পারবে দীর্ঘ ২ বছর পর্যন্ত। মাসের পর মাস এটি দিয়ে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন চালানো যাবে কোন রকমের রিচার্জ করা ছাড়াই। সাধারণ ব্যাটারির চাইতে এটি উৎপাদন করতে পারে ৭০০ গুন বেশি শক্তি!
এর আগেও বিজ্ঞানীরা মাইক্রো ইঞ্জিন তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের গবেষণার প্রধান অন্তরায় হয়ে ওঠে তাপ। এই ছোট ইঞ্জিনগুলো এত তাপ উৎপাদন করত যে নিজের তাপে এরা নিজেরাই পুড়ে যেত। বর্তমানে সিরামিক এবং সিলিকন কার্বাইড এর মত তাপ-সহনশীল বস্তু ব্যবহার করে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
গবেষকদের মতে, আগামী ছয় বছরের মাঝে এই ইঞ্জিনটি দ্বারা প্রচলিত ব্যাটারিকে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে। ইউনিভার্সিটি অফ বারমিংহাম এর প্রকৌশলীরা তৈরি করেছেন এই ছোট্ট অথচ বৈপ্লবিক ইঞ্জিনটিকে। এর ডিপার্টমেন্ট অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান গবেষক ডক্টর কাইল জিয়াং বলেন, “আমরা মানুষের পকেটে শিল্প বিপ্লব ঘটে যাওয়ার সাক্ষী হচ্ছি”।
বর্তমানে যেসব যন্ত্রপাতিকে রিচার্জ করা লাগে সেগুলোর সমস্যা এটি দিয়ে সমাধান করা সম্ভব হবে। এছাড়াও একে ব্যাবহার করা যাবে চিকিৎসাবিদ্যা এবং সামরিক ক্ষেত্রেও। দীর্ঘ সময় হৃৎপিণ্ডের পেসমেকার এবং ক্ষুদ্রাকৃতির গোয়েন্দা রোবট চালু রাখতেও এই ছোট্ট ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা যাবে।