দুর্নীতি কমলেই বিনিয়োগ আরো বাড়বে : মজীনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে দুর্নীতি কমাতে হবে। এ ছাড়া উন্নতমানের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও রাজনৈতিক অস্থিরতার হুমকি কমাতে হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএস ট্রেড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা ছাড়াও আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (এমচ্যাম) সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম এবং নির্বাহী পরিচালক আব্দুল গফুরসহ আমেরিকার বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১০-১৫ বছর পরে আমেরিকায় বিশাল বাংলাদেশ আগ্রাসন শিরোনামে টাইম ম্যাগাজিনে নিউজ কাভার করা হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন মজীনা। কারণ হিসেবে বলেন- ওই সময়ে আমেরিকায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, প্রযুক্তি, চামড়ার পণ্য, বাগদা চিংড়িসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যাপক সাড়া জাগাবে। যেখানে মেড ইন বাংলাদেশ নামক পণ্যে ছেয়ে যাবে। তবে এ জন্য কঠোর পরিশ্রম, প্রগতিশীল নেতৃত্ব, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং বৃহৎ বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোষাকশিল্প সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। তাদের এ সুনাম ধরে রাখতে হবে। একই সাথে আরো নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। এজন্য সব ধরনের সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে দুর্নীতি কমাতে হবে। তাহলেই এ দেশে বিনিয়োগ আরো বাড়বে। এ ছাড়া উন্নত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও রাজনৈতিক অস্থিরতার হুমকি কমাতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও পণ্য রফতানিতে আমেরিকা বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত করেনি। অথচ অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্তভাবে বাংলাদেশ পণ্য রফতানি করে থাকে। তাই আগামীতে আমেরিকায় শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানির সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ড্যান মজীনার কাছে আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ইউএস ট্রেড শো ১৭ নবেম্বর থেকে ১৯ নবেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যেখানে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ইউএস ট্রেড শো এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এমচ্যাম ও ইউএস এম্বাসি।