আলেমসমাজকে জনস্বার্থ নিয়েও কাজ করতে হবে : আল্লামা শফী
নাস্তিক্যবাদীদের ইসলাম বিদ্বেষ, আল্লাহ-রাসূল ও ইসলামের অবমাননা এবং দেশ ও সমাজ থেকে নৈতিকতা-আদর্শহীনতা প্রতিরোধে আলেমসমাজ ও তৌহিদি জনতার ঐক্যবদ্ধ মজবুত অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেন, ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থের পাশাপাশি দেশের আলেমসমাজকে জনস্বার্থ নিয়েও কাজ করতে হবে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ও সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায়ও আমাদের জোরাল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, শাহবাগী নাস্তিক্যবাদীদের বিষছোঁয়ায় সরকারের কিছু কর্মকর্তার মুখেও ইসলাম বিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে। দেশের মূল সমস্যা থেকে জনদৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য থেমে থেমে কথিত জঙ্গিবাদের ইস্যুকে আলোচনায় আনা হচ্ছে। মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর চরম ইসলাম অবমাননার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কর্তৃক ঘুষের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় জনমনে উদ্বেগ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, ঘুষ শুধু ইসলামি আইনে নয়, সারা বিশ্বের প্রচলিত মানব রচিত আইনেও মারাত্মক অপরাধ। অথচ একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কী করে ঘুষের পক্ষে সাফাই গাইতে পারেন? সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের লাগামহীন কথাবার্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি এবং সমাজে নীতি-নৈতিকতাহীনতা ও বেহায়াপনার ছড়াছড়িতে দায়িত্বশীল নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। মূলত দেশ কোন দিকে এগোচ্ছে এবং কেন এমন হচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে আমাদের সামনে কঠিন দুর্দশা অপেক্ষা করছে।
গতকাল বেলা ১১টায় ফেনী জেলা হেফাজতে ইসলামের ১২ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সাথে তার কার্যালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হলে হেফাজত আমির উপরিউক্ত কথা বলেন। ফেনী জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা আবুল কাসেমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সেক্রেটারি মুফতি রহীমুল্লাহ, মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম, মাওলানা নূরুল হুদা প্রমুখ।
হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ জানান, প্রতিনিধিদলের নেতৃবৃন্দ হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে ফেনী জেলা হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মতৎপরতা সম্পর্কে অবহিত করেন। হেফাজত আমির প্রতিনিধিদলের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং ফেনী জেলায় হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের দৃঢ় অবস্থানে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রতিনিধিদলটি হেফাজত আমিরের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরীর সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং মহাসচিব ২ মার্চ ফেনীর শানে রেসালত সম্মেলনে অংশগ্রহণের সম্মতি দেন।