আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে উপহার দেয়া জমিতে হাসপাতাল হচ্ছে

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রথম প্রেসিডেন্ট জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে উপহার হিসেবে দেয়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ১১০ একর জমির ওপর একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানটি পরিদর্শনের জন্য খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল রাঙ্গুনিয়ার পোমরা গেছে। প্রতিনিধিদলে একজন ইরাকি ও একজন বুলগেরীয় প্রকৌশলী রয়েছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৪ সালে এই জমি জায়েদ বিন সুলতানকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। ইউএইর প্রেসিডেন্ট অবকাশ যাপনের জন্য এখানে প্রাসাদ নির্মাণ করবেন বলে তখন ধারণা করা হয়েছিল। নির্ধারিত জায়গাটি দেয়াল দিয়ে ঘিরে কাপ্তাই সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য পাকা রাস্তাও করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর বহু বছর স্থানটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে ইউএই সফরে গেলে উপহার দেয়া জায়গাটি কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান। এরপর সেখানে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর ইউএই সফরেও প্রধানমন্ত্রী এ জন্য তাগাদা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নাহিয়ান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদল স্থানটি পরিদর্শন করল। স্থানীয় জেলা প্রশাসন তাদের সহযোগিতা দিয়েছে।
খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ইউএই সফরের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে পটুয়াখালীতে প্রস্তাবিত পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিনড্রাইভ (সমুদ্রঘেঁষা সড়ক) নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ডিপি ওয়ার্ল্ডকে পাঠিয়ে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধিরা সরেজমিন দেখতে বাংলাদেশ আসতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ইউএইর আমালা গ্রুপের সাথে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আওতায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে এক হাজার গৃহকর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো অনিয়ম না হয় এবং গৃহকর্মীদের অতীত অপরাধের কোনো রেকর্ড রয়েছে কি না তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বন্ধ থাকা আমিরাতের শ্রমবাজার আংশিকভাবে খোলার আশা আছে।
আমালা গ্রুপ ইউএই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান। এমওইউর আওতায় আমিরাত যাওয়া গৃহকর্মীরা অপেক্ষাকৃত উন্নত বেতন, দুই বছর পর বাড়িতে ছুটি কাটানোর জন্য বিমান টিকিটসহ ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button