ব্রিকলেনের উন্নয়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন
বাংলা টাউন রেষ্টুরেন্ট এসোসিয়েশনের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন- ব্রিটেনের কারী ক্যাপিটেল ব্রিকলেনের উন্নয়নে এবং ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাকে ধরে রাখতে এখন থেকে সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবেন। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে নির্বাহী মেয়র লুতফুরর রহমানের প্রশাসন যে ভূমিকা রেখেছে-এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামীতে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত ২৪ নভেম্বর সোমবার রাতে এক ব্রিফিং-এর মাধ্যমে নতুন কমিটিরকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। প্রায় এক যোগ পুরোনের বাংলা টাউন রেষ্টুরেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়াপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন পাপাডামস এবং মাসালা রেস্টুরেন্টের গোলজার খান ও সেক্রেটারী হয়েছেন গ্রাম বাংলার আবদুস শহীদ, ভাইস চেয়ারম্যান ক্যাফে বাংলার দরস মিয়া, ট্রেজারার ব্যাংগল ভিলেজের সোহেল মিয়া। মূলত তরুন ব্যবসায়ীদের সমন্নয়ে এই ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাওয়ার বাংলাটাউন এলাকার দুই কাউন্সিলার এডুক্যাশন ক্যাবিনেট মেম্বার গোলাম রব্বানী ও সুলুক আহমদ, ফাইনান্স ক্যাবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আলিবর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলার আলিবর চৌধুরী জানান, পাবলিক টয়লেট স্থাপন, আসামাজিক কার্যকলাপ কমানো এবং টাউটিং বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং সেকশন ওয়ান ওসিক্স এর অর্থায়নে আরো উন্নয়নের ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোলাম রব্বানী জানান, বাংলা টাউনে একটি গেইট প্রতিষ্ঠারও কাজও দ্রুত এগোচ্ছে।
এসময় সংগঠনের চেয়ারম্যান গোলজার আহমদ বলেন, ব্রিকলেইন ও বাংলা টাউনকে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের বাংলাদেশীরা গর্বের সাথে উচ্চারন করেন। বাংলা টাউন হচ্ছে ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের রাজধানী। এখানে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশী মালিকানাধীন। তার মধ্যে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা অন্যতম। এখানকার কারী শিল্পের গুনগত মানের কারনে ব্রিটেনসহ বিশ্বের নানান জাতির মানুষ এর স্বাদ নিতে এখানে আসেন। আর তাই বিগত অলিম্পিকের পূর্বে বাংলা টাউনকে ক্যারী ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষনা করা হয়। সেই বাংলা টাউনের রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা আজ নানান সমস্যায় জর্জরিত। এদিকে লন্ডন সিটি অন্যদিকে ক্যানারীওয়ার্ফ এর কারনে মেইন স্ট্রিমের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলা টাউন মুখী হচ্ছে। এর প্রভাব মোকাবেলা এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নে দরকার আমাদের ঐক্য ও কাউন্সিলের সহযোগিতা। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে রেন্টরেইট এর ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়েছি।
সেক্রেটারী আবদুস শহীদ বলেন, আমাদের সংগঠনের সাথে ৪৮টির উপরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা বিগত দিনে কাউন্সিলের সাথে মিলে কাজ করায় ইতিমধ্যে বাংলা টাউনে অহেতুক অপ্রীতিকর কিংবা উত্তেজনা সৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। কাউন্সিল কর্তৃক রাস্তা ক্লিন হওয়ায় কাষ্টমার বাংলা টাউন মুখী হচ্ছে। আগামীতেও আমরা কাউন্সিলের সহযোগীতা কামনা করি। সেই সাথে বাংলা টাউনে প্রস্তাবিত দুইটি গ্রেইট দ্রুত নির্মান সম্পন্ন করা, পার্কিং সমস্যার সমাধান ও সাপ্তাহে ১দিন রাস্তা বন্ধ রাখার দাবী জানাচ্ছি। আমার মেয়র, তার টিম এবং প্রধান বিরোধী দল লেবার পাটি এবং বিশেষ করে মিডিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা আশা করছি।
কমিটির সদস্যগন হচ্ছে চেয়ারম্যান গোলজার খান, সেক্রেটারী আব্দুল শহিদ, ভাইস চেয়ারম্যান দরস মিয়া, ট্রেজারার সোহেল মিয়া, এসিসটেন্ট ট্রেজারার দিলোয়ার হোসেন, প্রেস সেক্রেটারী আইন উদ্দিন, এসিসটেন্ট প্রেস সেক্রেটারী সেলিম আহমদ, রাজু আহমদ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মো: কবির আলী, এসিসটেন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারী জুবের আহমদ, সিনিয়র এডভাইজার মতবর আলী ও সিরাজুল হক।