তুরাগ তীরে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু
তাবলীগ জামাতের বিভিন্ন মেয়াদের চিল্লাধারী মুসল্লিদের নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী প্রস্তুতিমূলক জোড় ইজতেমা। প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা শুরুর ৪০ দিন আগে অনুষ্ঠিত হয় এ জোড় ইজতেমা। এ পাঁচ দিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরপর চলবে ইসলামের দাওয়াতী কাজের বয়ান। আর আগামী মঙ্গলবার বাদ জোহর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ জোড় ইজতেমা শেষ হবে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মুসুল্লী জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে মাঠে সমবেত হয়েছেন।
বিশ্বইজতেমা ও জোড় ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন জানান, তিন চিল্লায় অংশ নেয়া দেশী-বিদেশী মুসুল্লী, আলেম ওলামারা এ জোড় ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের ৪০ দিন আগে এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষ মুরুব্বীরা বয়ান করেন। এ বায়নে দাওয়াতি কাজ বা ইসলাম প্রচারের কাজ কিভাবে আরো সহজ ও মনগ্রাহী করা যায় এবং নিজেদের কোন ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। জোড় ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের একটি অংশ দাওয়াতী কাজে দেশ-বিদেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়বেন এবং একটি অংশ ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি কাজের তদারকিতে থাকবেন।
বিশ্বইজতেমা ময়দানের মুরুব্বী প্রকৌশলী আব্দুর নূর জানান, এবারের জোড় ইজতেমার সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে দেশী মুসল্লীদের পাশাপাশি ইতোমধ্যে শতাধিক বিদেশী মুসল্লী ময়দানে এসেছেন।
মুরুব্বী গিয়াস উদ্দিন জানান, টঙ্গীর এ বিশ্ব ইজতেমা ময়দানেই আগামী ৯ ও ১৬ জানুয়ারী তিন দিন করে দু’পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এ ইজতেমা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সুনামের সাথে পরিচিতি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। ক্রমবর্ধমান মুসুল্লীদের কথা চিন্তা করে গত কয়েক বছর ধরে এক পর্বের বিশ্বইজতেমা দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তারপরও মুসুল্লীদের স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। এমতাবস্থায় এক শ্রেণীর দখলদার ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম দিকের প্রবেশ পথসহ উন্মুক্তস্থল দখল করে নিয়েছে। ময়দানের পূর্ব পাশের বাটা, হোন্ডা ও টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) কারখানার অব্যবহৃত জমি ছাড়াও তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে ইজতেমা ময়দানের ব্যবহারের জমি এবং বিভিন্ন জনকে রাজউকের বরাদ্দ দেয়া জমিতে স্থাপনা ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথ দখল করে ফেলেছে। ফলে এবার নদীর পশ্চিমে ভাসমান সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও মুসুল্লীদের গাড়ি পার্কিংসহ মুসুল্লীদের প্রবেশ বাধাগ্রস্থ হবে। তাই তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে এসব জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।