চার্লসের শপথে কোরআন তেলাওয়াতের সুপারিশ
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে প্রিন্স চার্লসের শপথ অনুষ্ঠান শুরু করা উচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ডের একজন শীর্ষস্থানীয় খ্রিস্টান ধর্মগুরু।
ডেইলি মেইল জানায়, শুক্রবার হাউজ অব লর্ডসের এক বিতর্কে চার্চ অব ইংল্যান্ডের সিনিয়র ধর্মগুরু লর্ড হ্যারিস বলেন, চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হলে মুসলমানরা অনুভব করতে পারবেন যে জাতি তাদের আলিঙ্গন করেছে। এটাকে ‘সৃজনশীল উপযোজন কর্ম’ বলে মন্তব্য করেছেন লর্ড হ্যারিস। লর্ড হ্যারিস অক্সফোর্ডের সাবেক বিশপ এবং একজন উদারপন্থী চিন্তাবিদ হিসেবে খ্যাত।
তিনি বলেন, তিনি নিশ্চিত যে চার্লসের শপথ বা রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান ছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও নতুন রাজাকে আশীর্বাদ করার সুযোগ দেয়া হবে।
এক্ষেত্রে চার্চ অব ইংল্যান্ডকে তার ঐতিহাসিক অবস্থানকে ‘অতিথিপরায়ণ উপায়ে’ কাজে লাগিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান জানান লর্ড হ্যারিস।
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ক্ষমতা ছেড়ে দিলে অথবা মারা গেলে পরবর্তী রাজা হবেন প্রিন্স চার্লস।
লর্ড হ্যারিস জানান, গত বছর ব্রিস্টল ক্যাথেড্রালের এক গণপ্রার্থনা অনুষ্ঠানে খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠান শুরুর আগে কর্তৃপক্ষ পবিত্র কোরআনের প্রথম অনুচ্ছেদ অধ্যয়ন করার অনুমতি দেন।
এটাকে ‘প্রতিভাবান সৃজনশীল উপযোজন কর্ম’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতে মূল জমায়েতের লোকজন বিচ্ছিন্নবোধ করেননি কিন্তু মুসলমানদের প্রধান নেতা ‘উষ্ণ আলিঙ্গন’ অনুভব করেছেন।
‘পরবর্তী শপথ অনুষ্ঠানসহ প্রতিটি গণ অনুষ্ঠানেই এ ধরনের আতিথেয়তা দেখানো যায় এবং দেখানো উচিত’ মন্তব্য লর্ড হ্যারিসের।
তবে সমালোচকরা বলছেন, এ প্রস্তাবের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মগুরু প্রমাণ করলেন যে নিজের ধর্ম ও ঐতিহ্যের ওপরই তিনি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।
খ্রিস্টান বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্রিশ্চিয়ান ইন্সটিটিউটের গবেষক সাইমন কালভার্ট বলেন, ‘খ্রিস্টানদের মঠে খ্রিস্টানদের প্রার্থনা অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াতের জন্য একজন খ্রিস্টান নেতার প্রস্তাবে বেশিরভাগ লোকই চমকিত হবেন।
‘চার্চ অব ইংল্যান্ডের একজন সিনিয়র যাজক যখন খ্রিস্টান ধর্মের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন তখন লোকজন যারপরনাই হতাশ,’ বলেন সাইমন।