মাদরাসা নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জমিয়তে উলামা হিন্দের বিশাল সমাবেশ
মুসলিম ও মাদরাসা নিয়ে এক শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জমিয়তে উলামা হিন্দের ডাকে কলকাতায় বিশাল সমাবেশ হয়েছে। গত শনিবার জমিয়তে উলামা হিন্দের ওই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিল। বিশাল ওই সমাবেশে বক্তারা রাজ্যে চলমান অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন।
জমিয়তের সর্বভারতীয় সভাপতি ও দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম ক্কারী মুহাম্মদ উসমান বলেন, ‘মসজিদ, মাদরাসা ও আলেম সমাজের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চলছে, এটা কোনো নতুন ঘটনা নয়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দায়িত্বশীল লোকেরা এধরণের মন্তব্য করে এসেছেন। তিনি বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দ ও জমিয়তে উলামা হিন্দ সবসময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালে দেওবন্দের উদ্যোগে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কনফারেন্স করা হয়েছিল। সারা দেশে ২০০টির বেশি সন্ত্রাসবাদবিরোধী সভা করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘মাদরাসাগুলো যে কাজ করছে, তা দেশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকারকে সামনে রেখেই করছে। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়, একজন মুসলমান কাউকে হত্যা করতে পারবে না। প্রতিবেশীদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে, তাদের দুঃখ কষ্টে সামিল হবে। এই শিক্ষাই দিন রাত মাদরাসা ও মসজিদে দেয়া হয়।’
সন্ত্রাসবাদের জন্য মাদরাসাকে দায়ী করার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো শিখ, খৃস্টান বা হিন্দু কোনো অপরাধ করলে তখন বলা হয় না এ কাজ তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শিক্ষা দিয়েছে। অথচ মুসলিমদের বেলায় তা বলা হয় কেন?’ জমিয়তে উলামা হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ আসাদ মাদানী তার ভাষণে বলেন, ‘এদেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি মুসলিমদের রক্তে সঞ্চিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ইংরেজদের হাত থেকে এদেশকে উদ্ধারের জন্য লড়াই করেছে। আমরা সন্ত্রাসবাদী নই। সন্ত্রাসবাদী তো তারা, যারা আমাদের সন্ত্রাসবাদী বলে।’
শনিবারের এই সমাবেশে আরো যেসব বিশিষ্ট ওলামায়েকেরাম বক্তব্য রাখেন তারা হলেন, জমিয়তের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য শাখার সভাপতি মাওলানা হুসামুদ্দিন, জমিয়তের রাজ্য সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া অলইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিডিএস নেত্রী অনুরাধা পুততু- প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন এই সভায়।