ইসলামী ব্যাংক সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি সেতু বন্ধন

IBBLবাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদী রাষ্টদূত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বুসাইরির বিদায় উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড গত শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে নৈশভোজের আয়োজন করে। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, শীর্ষ ব্যবসায়ী,  ইসলামী ব্যাংকের ডাইরেক্টর ও উর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সৌদী রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বুসাইরি বিদায় সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য ইসলামী ব্যাংককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। রাষ্ট্রদূত ইসলামী ব্যাংককে সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের একটা সেতুবন্ধন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীর সম্পর্ক রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের সাথে। স্বল্প লাভে বিনিয়োগ প্রদান, পল্লী উন্নয়ন, বিভিন্নমুখী শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ বিশাল খেদমত আঞ্জাম দিয়ে ইসলামী ব্যাংক জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিবেচনায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এক নম্বর ব্যাংক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তিনি গৌরব বোধ করেন। তিনি এই ব্যাংকের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক অতি পুরোনো। দুই মিলিয়ন বাংলাদেশী সৌদী প্রবাসী দুই দেশকে গভীর আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। সৌদি আরবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে যেমন তারা নিয়োজিত, বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও তারা বিরাট অবদান রাখছেন। তিনি জানান, এদেশের প্রতি সৌদী সরকার ও জনগণের সর্বাত্মক সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের বাংলাদেশ এবং বিশেষভাবে ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহযোগিতার জন্য সৌদি আরবের জনগণ, সরকার ও রাষ্ট্রদূত ড. বুসাইরির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক জনগণের ব্যাংক। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এ ব্যাংকের সাথে মুসলিম বিশ্বের ৫৭টি দেশের সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী ব্যাংক একটি শরীয়াহ পরিপালনকারী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান যা কোনো ধরনের অকল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করে না।
এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল ব্যাংককে ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরের জন্য আমরা কাজ করছি। এ লক্ষ্যে  সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পাবো বলে আশা করছি।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সৌদী দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, সৌদি আরবের সাথে পৃথিবীর এক দশমাংশ মুসলিম অধ্যুষিত এদেশের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী ব্যাংক সবসময় ড. বুসাইরির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছে। বৈশ্বিক ইসলামী ব্যাংকিং গ্রাহকের এক চতুর্থাংশ ও ইসলামী ক্ষুদ্র ঋণের  পঞ্চাশ শতাংশ ধারণকারী ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে সৌদি আরবের আন্তরিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা পোষণ করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button