ক্যান্সার আক্রান্ত ১৮ শিশুকে যৌন নির্যাতন ব্রিটিশ ডাক্তারের
ব্রিটেনের এক বিকৃতমনা চিকিৎসক ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৮ শিশুকে যৌন নির্যাতন করার কথা স্বীকার করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এ নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে ক্যামব্রিজের একটি আদালতকে জানিয়েছেন ক্যান্সার চিকিৎসক মাইলস ব্রাডবারি।
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার অজুহাতে ২৫ দফা যৌন অপরাধের কথা স্বীকার করেন ব্রাডবারি। এর মধ্যে কলমে বসানো ক্যামেরা দিয়ে অশোভন ছবি তোলা, পোশাক পরিবর্তনসহ ব্যক্তিগত কাজ সম্পন্ন করার দৃশ্য গোপনে পর্যবেক্ষণ করা এবং গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ১৬ হাজারের বেশি অশোভন ছবি রাখার মতো বিষয় রয়েছে।
এক সন্তানের জনক ৪১ বছর বয়সি এ চিকিৎসক রক্ত-ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের নির্জন কক্ষে নিয়ে যেতেন। তারপর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে কথিত ‘শারীরিক পরীক্ষা’ করতেন ব্রাডবারি।
ব্রাডবারির পৈশাচিক যৌন বিকৃতির শিকার এক রোগীর বাবা তার ছেলের দুর্দশার হৃদয় বিদারক বিবরণ দিয়েছেন আদালতে। হতভাগ্য এ বাবা বলেন, ব্রাডবারির নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর তার অসুস্থ ছেলের জীবন বদলে যায় এবং সে বেঁচে থাকার কোনো মানে খুঁজে পায় না। বাবা আরো বলেন, তার ছেলেটির মধ্যে সব সময় আতংক বিরাজ করেছে এবং হাসিখুশি প্রাণবন্ত ছেলেটি শেষ পর্যন্ত গভীর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। শুনানির পর আদালত ব্রাডবারিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। আগামী সোমবার তার শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও হেনেস্তার একটি দেশ হয়ে উঠেছে ব্রিটেন। দেশটিতে এ জাতীয় ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে এবং দেশটিতে ১৯৫০, ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে সংঘটিত লাগামহীন যৌন নির্যাতনের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে একে একে প্রকাশিত হয়েছে।