‘বাবার কিছু হলে দায় সরকারের’
গাফিলতির কারণে যদি বাবার (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) কোন সমস্যা হয় তাহলে এর সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাঈদীর ছেলে ও জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।
তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবেই আমার আব্বা আল্লামা সাঈদীর পরিপূর্ণ ও সঠিক চিকিৎসা না করিয়েই আবারো তাকে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠিয়েছে। সরকারের এই নোংরামি এবং গাফিলতির কারণে যদি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কোন সমস্যা হয় তাহলে এর সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী অভিযোগ করে বলেন, বুকের তীব্র ব্যথার কারণে মাওলানা সাঈদীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে দ্রুততার সঙ্গে ঢাকায় এনে সঠিক চিকিৎসা না দিয়েই পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আল্লামা সাঈদীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এনে হাসপাতালে নেয়ার পর সরকার তার হার্টের চিকিৎসার পরিবর্তে করলো হাটু ও কোমড়ের এক্স-রে! সরকার দায়সারাভাবে কোনরকমে একটি ইসিজি ও হাস্যকরভাবে একটি এক্স-রে করিয়ে ‘সাঈদী সাহেব সুস্থ’ মর্মে সার্টিফিকেট নিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় আবার কাশিমপুর নিয়ে গেলো।
তিনি বলেন, রোববার রাত আনুমানিক ১টার দিকে আমার আব্বা কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানকালে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথার তীব্রতা অনুধাবন করে কারাকর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক তাকে প্রথমে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। গাজীপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আব্বাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। কারাকর্তৃপক্ষ আব্বাকে নিয়ে যখন হাসপাতালে পৌঁছে তখন রাত প্রায় ৩টা।
হাসপাতালে তখন ছিলেন শুধুমাত্র একজন ডিউটি ডাক্তার। তিনি আব্বাকে নিয়ে যান ইমার্জেন্সিতে। সেখানে ডিউটি ডাক্তার আব্বার একটি ইসিজি করে। কিছুক্ষণ পরই ডাক্তার রিপোর্ট দিলেন ‘সাঈদী সাহেব সুস্থ আছেন’। তার হৃদরোগজনিত কোন সমস্যা নেই। তড়িঘড়ি করে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ শেষে কারা কর্তৃপক্ষ ভোর রাত ৪টার দিকে আব্বাকে নিয়ে যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
তিনি আরো বলেন, আমার আব্বার বয়স এখন ৭৬। তার হার্টে ৫টি রিং পড়ানো আছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদরোগে ভুগছেন। ডায়াবেটিসকে ভুগছেন ৩৬ বছর ধরে।