বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিড এখনো ঝুঁকিপূর্ণ
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জাতীয় গ্রিড এখনো ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে মূল নজর থাকায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বা বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্যে কোন উদ্যোগ ছিল না। বিবিসির এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ১ নভেম্বর জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে সারা দেশ যে অন্ধকারে ছিল, তার তদন্ত প্রতিবেদন আজ বুধবার প্রকাশ করা হয়।
তাতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় কারিগরি ত্রুটির কারণে সেই বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সেই বিপর্যয়ের এক মাস পর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মন্তব্য করেছেন, জাতীয় গ্রিড এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেছেন, ‘জাতীয় গ্রিড বা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোনো, এর ডিজাইন ছিল চার হাজার মেগাওয়াটের জন্য। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন দশ বা এগারো হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত হয়েছে। ফলে সমস্যা থাকছে। এছাড়াও অনেক কেন্দ্রে বিদ্যুতের লোড ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নেই।’
অল্প সময়ের মধ্যে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এম তামিম মনে করেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বা বিতরণ ব্যবস্থা সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি থাকছে।
দেশে এখন বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে দেড় কোটির মতো। এরমধ্যে এক কোটির বেশি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড। এই বোর্ডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনউদ্দিন বলেছেন, প্রতি মাসেই তাদেরকে এক লাখেরও বেশি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হচ্ছে।
এর সাথে পাল্লা দিয়ে সরবরাহ এবং বিতরণ ব্যবস্থা এগুতে পারছে না।
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেছেন, গত ছয় বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর জোর দেয়া হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এবং বিতরণ ব্যবস্থার সংস্কার এই অর্থ বছরে ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।