যুক্তরাষ্ট্রে আবারো গ্রান্ড জুরির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্রে আরো একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করার গ্র্যান্ড জুরির সিদ্ধান্তে বুধবার ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে ওই ঘটনায় নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার কেন্দ্রীয়ভাবে ওই তদন্তের ঘোষণা দেন।
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করার সিদ্ধান্তের পরই নিউইয়র্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এ ঘটনায় ওয়াশিংটন ডিসিতেও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে একই ধরণের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি শহর ফার্গুসনেও বিক্ষোভ হয়েছে। খবর এএফপির।
গ্র্যান্ড জুরির এমন সিদ্ধান্তের পরপরই নিউইয়র্ক নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান টাইম স্কয়ারে শত শত লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় তারা ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’ বলে শ্লোগান দেয়। মিসৌরিতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যার দায়ে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করায় গ্র্যান্ড জুরির গত সপ্তাহের সিদ্ধান্তে তারা আগেই ক্ষুব্ধ ছিল।
এই উভয় ঘটনা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের বিতর্ককে উস্কে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মন্তব্য করেছেন যে এই মামলাটির ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে থাকা সমস্যার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।
গত জুলাই মাসে গার্নারকে আটকের সময় ঐ পুলিশ কর্মকর্তা তার গলা শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরে রাখায় শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ময়না তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে।
স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের রাস্তায় পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে তিনি বাধা দিলে তাকে জোর করে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী তার মোবাইল ফোনে ওই আটকের দৃশ্য ধারণ করেন।
গার্নারের পরিবারের আইনজীবী বলেছেন হত্যার দৃশ্যের একটি ভিডিও দেখার পরও গ্র্যান্ড জুরির এ ধরণের সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছেন তিনি। একই ধরনের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্গুসন শহরে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ব্যাপক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়।
নিউ ইউয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের আহবান জানিয়েছেন।