প্রসঙ্গ যখন ঘোমটা…
জাহিদা খান চৌধুরী:
‘A woman modestly dressed is like a pearl in its shell ‘ অর্থটা জানা থাকলে মনে হয় কোন মহিলার সমস্যা হবে না প্রগতিশীল হবার যথার্থ অর্থ। আজকাল যে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে তথা কথিত প্রগতিশীল এক শ্রেণীর মানুষদের ধর্ম বিরোধী কথা বলে লাইম লাইট এ আসার সেটা বন্ধ হবার অতীব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলাম নিয়ে কথা বললেই হিজাব পরলেই মাথায় কাপড় দিলেই হেফাজত কিংবা জামায়াত খেতাব দিয়ে দেবেন। পাকিস্তানপন্থী খেতাব দিয়ে দিবেন। সেই সকল মিতা হক এইটা শুধু অন্যায় না অপরাধ ও বটে। আপনি ইসলামের চর্চা করেন তবেই আপনাদের মতো মানুষের মনে প্রকৃত দেশ প্রেম জাগবে, স্বাধীনতার চেতনা জাগবে। গণতন্ত্রের অর্থ বুঝতে পারবেন। আপনারা যারা হিজাব পরা দাড়ি টুপি পড়া মানুষের গণতন্ত্রের উপরে হস্তক্ষেপ করছেন তাদের ঈমান এতটা নড়বড়ে নয় যে আপনাদের বাচালতায় সেটা বর্জন করবে। বলি বাঙালি হবার জন্য পোশাকের বাহ্যিকতার প্রয়োজন তাদের মতো চেতনার মানুষদের দরকার হয় যাদের নিজেদের ঈমান বড়ই বেসামাল। ইসলাম আমাদের পেছাতে শেখায় না। সব চাইতে মডেসট ধর্ম ইসলাম। মিতা হকের মতো ঈমান অন্ধরাই সেটা দেখতে পান না। ওনারা চেতনার কথা বলেন উনি জন্মেছিলেন বাঙালি হয়ে নয় মুসলিম হয়ে। পরে বাঙালি হয়েছেন দেশ স্বাধীন হবার পরে। যারা কী হয়ে জন্মালেন সেই চেতনাই যদি টিকসই না থাকেন তবে মুখে আর যাই বলেন কতটুকুন বাঙালি চেতনার রক্ষক সেটা বলাই বাহুল্য।
যেকোনো সম্প্রদায়ের যে কোন ধর্মের মানুষ এই দেশে জাতিগত চেতনায় বাঙালি। কিন্তু সবাই ধর্মের দিক দিয়ে তারা সকলেই নিজেদের ধর্ম মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন । আর ইসলাম ধর্মে নির্দেশ আছে হিজাব করা, মার্জিত পোশাক পরিধান করার। আমরা যখন আমাদের ধর্ম মেনে চলবো আপনারা কারা যারা আমাদের অস্বীকার করবেন বাঙালি হিসাবে? প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মহিলা মন্ত্রী আছেন যারা ঘোমটা দেন এমনকি বিরোধীদলের নেত্রীও ঘোমটা দেন…।
ঘোমটা দেন আমাদের সমাজের অনেক স্তরের মহিলারা, এটা ইসলাম ছাড়াও সামাজিক প্রচলন এবং তারা সবাই বাঙালি। গণতন্ত্র তা হলে কী? তা হলে মিতা হক কিংবা তাদের দোসররা কী গণতন্তের ধর্ষণকারী? মিতা হকের মতো বিশ্বাসীদের জানিয়ে দেয়া ভাল আমরা আপনার থেকে ১০০ ভাগ বেশি বাঙালি। আপনার মতো কোনো ময়লা মানুষিকতার শিকার আমারা না। যারা হিজাব কিংবা মাথায় ঘোমটা, দাড়ি, টুপি দিয়ে বিচার করেন তারা নিজেদের আগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে কথা বলবেন। আর হিজাব করা মেয়েদের পক্ষে, দাড়ি টুপি পরা বাঙালিদের পক্ষ থেকে আপনাদের মতো সকলের উদ্দেশ্যেই জানিয়ে দেই, আমরা আমাদের মাথার চুলের লাইন কভার করেছি মার্জিত পোশাক পরি। আমরা আমাদের মগজ কভার করি নাই আমাদের চেতনায় কভার করি নাই। সেখানে ঈমানের সাথে ধর্ম আর দেশ প্রেম বিরামহীন বর্তমান।